বিজয়া দশমীর সাজ

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:০০

সাহস ডেস্ক
মডেল- অন্তরা

শারদীয় দুর্গা পূজার প্রধান আকর্ষণ বিজয়া দশমী। এই দিনে দুর্গা দেবীকে বিদায় উপলক্ষে মহা মেলার আয়োজন ঘটে। সে মেলায় নিজেকে সামিল করতে পিছিয়ে থাকে না সনাতন ধর্মালম্বীরা। জমকালো সাজে নিজেকেও সাজিয়ে নেন তরুণীরা। সাজটা যেহেতু দুর্গাদেবীর বিদায়কে কেন্দ্র করে তাই লুকটা থাকে সেই আবহে। নিজের সাজকে আরো বেশি অর্থবহ করেতে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

দশমীর সাজ মানে শাড়ি বা থ্রিপিসে লালের ছটা। সেখানে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, একদম লালরঙা শাড়ি বা সাদা জামদানি আর লাল ব্লাউজে হাতের কাজের নকশা থাকলে মন্দ হয় না। সব বয়সী নারীরাই এ রংগুলো বেছে নিতে পারেন। অনেকে আবার প্রতিমার মতো করে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করেন। তবে এই দিনে লালই সবার পছন্দ। জরি, পুতির নকশাদার জর্জেট শাড়ি হলে সাজের সঙ্গে আবহাওয়াটা মানিয়ে যায়। তাই দুর্গা দেবীর বিদায় লগ্নে এ ধরনের শাড়িই অনেকে বেছে নেয়। কখনো কখনো গোল্ডেন রঙের শাড়িও পরে। তবে যে ধরনের শাড়িই হোক না কেন মিলিয়ে ব্লাউজ আর ব্যবহৃত অর্নামেন্টস অবশ্যই গর্জিয়াস হওয়া চাই, সঙ্গে সাজটাও। শুধু শাড়ি নয় মাঝে মাঝে থ্রিপিস, লেহেঙ্গা বা আনারকলি স্টাইলের ড্রেসও পরে থাকেন কেউ কেউ। কেউ যদি একান্তই শাড়ি না পরতে চায় তাহলে সাদা আর লালের মিশ্রণে কোনো সালোয়ার কামিজও পরা যেতে পারে। সাদা কুর্তির সঙ্গে লাল পায়জামা আর লাল ওড়নাও বেশ ফ্যাশেনেবল লাগবে। সাদা শাড়ির সঙ্গে লাল নেটের ফুল হাতা ব্লাউজ খুব ভালো মানাবে।

এই দিনে জমকালো সাজের জন্য চোখের নিচে ঘন কাজল আর টানা লাইনার, লাল লিপস্টিক, স্নিগ্ধ মেইকআপ আর সিঁদুর বেছে নেন। তবে সাজ নেওয়ার আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার বেছে নিতে হবে। ত্বকে যদি খুব ঘাম হওয়ার প্রবণতা থাকে, সে ক্ষেত্রে টোনিং করার আগে তুলায় অথবা সুতির রুমালে এক টুকরো বরফ জড়িয়ে মুখে ও গলায় ঘষে নিন। তারপর অল্প একটু ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে হালকা হাতে ঘুরিয়ে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। ম্যাসাজ করবেন না।

ফাউন্ডেশনের তুলনায় এক অথবা দুই শেড লাইট কনসিলার নিন, আঙুলের অথবা ব্রাশের সাহায্যে চোখের পাশে, পাতায় ও অন্যান্য ডার্ক অংশে কনসিলার লাগান। আপনার কনসিলার যদি ম্যাট ফিনিশিং হয়, তবে তা আইশ্যাডো ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ত্বকের টোনের সঙ্গে খাপ খায় এমন ফাউন্ডেশন নিন। আপনি আঙুল অথবা স্পঞ্জ দিয়ে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। পানি স্প্রে করে ফেসিয়াল টিস্যু দিয়ে চেপে অতিরিক্ত পানি তুলে ফেলে স্পঞ্জ দিয়ে চেপে ফাউন্ডেশন বসিয়ে দিতে হবে।

আইব্রো আঁকার জন্য আইব্রোর রঙের সঙ্গে যায় এমন কালার নিন। কাপড়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে দু-তিনটি শেড বেছে নিতে পারেন। সবচেয়ে হালকা রঙের শ্যাডো লাগিয়ে এরপর এরই (আইব্রোর প্রান্ত পর্যন্ত) দিয়ে পুরো চোখের পাতায় শেড ডিপ বা প্রাথমিক রঙের সঙের সঙ্গে যায় এমন কালার দিয়ে ইনার কর্নার থেকে ভেতরের দিকে ছোট ছোট স্ট্রোকে আইশ্যাডোর কালার লাগিয়ে নিন। এবার ব্লাশন লাগানোর পালা। চিক বোনের নিচ থেকে কানের দিকে ধীরে ধীরে টেনে ব্লাশনের কালার গাঢ় করুন। কপালের পাশে, থুতনি, নাক অথবা কপালে ব্লাশার লাগাবেন না। ঠোঁট এঁকে গাঢ় লাল রঙের লিপস্টিক দিতে পারেন অথবা রেড লিপগস আর কপালে বড় লাল টিপ, বিবাহিতা হলে সিঁথিতে দিন সিঁদুর, পায়ে আলতা। এদিন ঠাকুরকে সিঁদুর পরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিজেরাও মেতে উঠুন সিঁদুর খেলায়।

সালোয়ার কামিজের সঙ্গে চুলের স্টাইলটা হতে পারে ব্লো আয়রন, স্পাইরাল রিং, ফ্রেঞ্চ বেণি অথবা পনিটেইল। আর শাড়ির সঙ্গে সামনের চুল একটু ফুলিয়ে পেছনটা আয়রন করে খোলা রাখতে পারেন অথবা করতে পারেন হাতখোঁপা। খোঁপায় একগুচ্ছ সাদা ফুলের মালা। আর ছেলেদের সাজে ধুতি-পাঞ্জাবি অথবা পায়জামা-পাঞ্জাবিই সব চেয়ে মানানসই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত