দশমীতে থাকুক হাতে বানানো মিষ্টি

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫৭

সাহস ডেস্ক

বাড়িতে বানানো মিষ্টির স্বাদই আলাদ৷ তবে আজকাল অত সময় কার হাতেই বা রয়েছে৷ এরই মধ্যে যদি শিখে নেওয়া যায় চটজলদি বানানো মিষ্টির রেসিপি, তবে তো মন্দ হয় না? কি বলুন৷

সন্দেশ:
উপকরণ : (ছানার জন্য) সম্পূর্ণ ক্রিম, দুধ দেড় লিটার, (রসের জন্য) সম্পূর্ণ ক্রিম দুধ ২ লিটার, চিনি (রস তৈরি করার সময় যোগ করা হবে) ১ কাপ, মিহি ময়দা আধ কাপ, চিনি (রান্না করার পর যোগ করা হবে) ৫ টেবিল চামচ

প্রণালি: ছানা তৈরি করুন এবং ছানা ৪ ঘণ্টার জন্য দম দিয়ে রাখুন, ছানা সম্পূর্ণ শুষ্ক হওয়া পর্যন্ত। এবার ময়দা ও রস মিশিয়ে ব্যাচ করুন এবং হাত দিয়ে চটকান ২০ মিনিট পর্যন্ত। তারপর ননস্টিকি প্যানে মিশ্রণটি রাখুন এবং গ্যাস অল্প আঁচে জ্বালান। মিশ্রণটি ক্রমাগত নাড়তে থাকুন ১৫ মিনিট। এভাবে একসময় মিশ্রণটি একদম শুকিয়ে যাবে। এরপর গ্যাস বন্ধ করুন। এবার মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করতে দিন। পুরোপুরি ঠাণ্ডা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হালকা গরম থাকবে। এবার হাত অথবা ছাঁচে ফেলে গোল অথবা চারকোনা করে নিয়ে চেপে বিভিন্ন শেপে আনুন। সন্দেশ এখন ভঙ্গুর থাকবে; কিন্তু পুরোপুরি ঠাণ্ডা হতে হবে। এটি ঠাণ্ডা হলে ১৫ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়।

রসমালাই:
উপকরণ: ১ কাপ গুঁড়ো দুধ, ৩টি ডিম, এক-চতুর্থাংশ কাপ বেকিং পাউডার, ১ কেজি দুধ, আধ কাপ চিনি, কাজু বাদাম ও পেস্তাবাদাম প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: একটি বাটিতে গুঁড়ো দুধ, ডিম ও বেকিং পাউডার মেশান এবং মিশ্রণটি ভালোভাবে পেস্ট করুন৷ ৩০ মিনিট এটিকে আলাদা রাখুন। এরপর মিশ্রণগুলো থেকে ছোট মার্বেলের মতো বল তৈরি করুন হাতের তালুতে। এবার একটি পাত্রে দুধ ফোটান এবং সবুজ এলাচ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনি সম্পূর্ণ মিশে গেলে মার্বেলের মতো বলগুলো ছেড়ে দিন এবং অল্প আঁচে ৫-৭ মিনিট রাখুন, তারপর কাজু বাদাম ও পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন রসমালাই।

কমলাভোগ :
মিষ্টির জন্য উপকরণ : দুধ (স্কিম মিল্ক বা ফ্যাট ফ্রি হলে ভালো হয়) ২ লিটার, কমলার রস ২ কাপ, জাফরান প্রয়োজন অনুযায়ী, বেকিং পাউডার আধ টেবিল চামচ, আইসিং সুগার ২ টেবিল চামচ, সুজি ১ টেবিল চামচ, অরেঞ্জ এসেন্স ২ ফোঁটা (না দিলেও চলবে), জাফরানি রং সোয়া চা-চামচ, লবঙ্গ (প্রতিটি মিষ্টির জন্য) ১টি করে।

রসের জন্য : চিনি ৩ কাপ, জল ৫ কাপ, এলাচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ।

প্রণালি : ৪ কাপ জলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে জাল দিন। ঘন হয়ে এলে আরও ১ কাপ জল দিয়ে জাল দিন। রসের ঘনত্ব বুঝে গ্যাস বন্ধ করে দিন। একটি প্যান বা হাঁড়িতে দুধ জাল দিন। কয়েকবার ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। দুধের হাঁড়ি আর নাড়াবেন না। পুরু সর পড়লে তা সাবধানে দুধ থেকে উঠিয়ে ফেলুন। পুনরায় মাঝারি আঁচে দুধ জ্বাল দিন। একবার ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে অল্প অল্প করে কমলার রস দিন। দুধে দই বা ছানা ভাব এলে বুঝবেন সিরকার মিশ্রণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। খেয়াল রাখবেন ছানা যেন বেশি শক্ত হয়ে না যায়।

এবারে একটি ট্রেতে ছানা নিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট মথে মসৃণ করে নিন। ছানার মধ্যে একটা ভেজা ভেজা ভাব থাকবে। আরও মসৃণ করতে চাইলে একটু ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। তারপর এটি ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব মনে হলে দুই-এক চা-চামচ ময়দা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে মথে নিন। এই থেকে ছোট ছোট গোলা তৈরি করুন। গোল আকৃতির মিষ্টি তৈরি করে তার মাঝখানে আঙুল চেপে একটু ছোট গর্তের মত তৈরি করুন। প্রতিটি মিষ্টির গর্তে একটি করে লবঙ্গ গেঁথে দিন। কয়েকটি পেস্তা কুচি লবঙ্গের চারপাশে দিয়ে ফুলের মতো তৈরি করুন। মিষ্টির চারপাশে একটু একটু করে জাফরানের রেণু ছিটিয়ে দিন। সাবধানে সাজাতে হবে যেন ফেটে না যায়। এবার কিচেন টাওয়েল দিয়ে কয়েক মিনিট ঢেকে রাখুন।
চিনির রসে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে এই রসে একটি একটি করে কমলাভোগ ছেড়ে দিন। কড়াই বা হাঁড়ি আলতোভাবে এ পাশে ওপাশে ঘুরিয়ে ভারী ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে কড়া আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। আরও ৫-১০ মিনিট জ্বাল দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার ঢাকনা খুলে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চিনির নাড়ু
উপকরণ
ঘি ২ থেকে ৩চামচ, নারকেল কোড়া যত নাড়ু বানাবেন তার ওপর নির্ভর করছে, দুধ ১ থেকে ২ কাপ, চিনি যতটা নাড়ু করবেন তার ওপর নির্ভর করবে, ও ১কাপ কনডেনস্ মিল্ক।

পদ্ধতি
কড়ায় ঘি দিন। গরম হলে তাতে নারকেল কোড়া দিয়ে একটু নাড়ুন। তারপর তাতে দুধটা ঢেলে দিন। এরপর দিন কনডেনস মিল্ক। নাড়ুন বেশ কিচ্ছুক্ষণ। এরপর এতে চিনি ও এলাচ দিন। এবার নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না একটা আঠালো ভাব আসছে। বেশ আঠা মত হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। হালকা গরম অবস্থাতেই নাড়ুর আকারে তৈরি করে নিন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত