শিশুরাই আগামীর ডিজিটাল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২২, ১৭:২১

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত ও সভ্য রাষ্ট্রে পরিণত করা হচ্ছে যেখানে বসবাস করবে আজকের শিশুরা। একই সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নেতৃত্ব দিবে আজকের এই প্রজন্মের শিশুরাই।

“ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং শিশু সুরক্ষা” প্রতিপাদ্যতে আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) এর ২০ তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।

তিনি আরো বলেন, দেশে কিছুদিনের মধ্যেই ৫জি চালু হচ্ছে তখন ২জি থেকে ৫জি সব ধরণের ইন্টারনেট সুবিধা জনগণ তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়ার বা নেট জগতের নেতিবাচক দিকগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে যদিও তা সমাধানে বৈশ্বিক ভাবে কাজ করছে সরকার। এছাড়াও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের পক্ষে করণীয় সকল কিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করা হবে।

ইয়েস বাংলাদেশ ও অপরাজেয় বাংলাদেশের আয়োজনে এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ওয়াই মুভস প্রজেক্ট এর আওতায় এইবারের পার্লামেন্টে বিগত ১৯ বছরের সফল ধারাবাহিকতায় ৬৪টি জেলার শিশু সাংসদরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শিশুদের ভূমিকা এবং শিশু সুরক্ষা এই দুটি বিষয়কে সামনে রেখে পার্লামেন্টের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এর নিকট নানাবিধ সুপারিশ প্রদান করেন।

যার মাঝে দেশের বিশেষ অঞ্চলের শিশুদের আর্থ-সামাাজিক উন্নয়ন, সকল স্থানে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও ডিজিটাল ডিভাইস এর সহজলভ্যতা, ইন্টারনেটের খরচ কমানো ও মেয়াদ বৃদ্ধি, বাল্যবিবাহ বন্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রচারণা বৃদ্ধির উদ্যোগ, ভার্চুয়াল জগতের নেতিবাচক দিকগুলো থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ৬৪টি জেলার শিশুদের নানা প্রশ্নের উত্তর হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ইতিমধ্যেই দেশে সাইবার আইন তৈরি করা হয়েছে যা বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা দায়িত্বের সাথে কাজ করছে।

এছাড়াও বাল্যবিবাহ সহ সামাজিক অপরাধগুলো দমনে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি টেলিভিশনের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি টেলিভিশনের সকলকেও স্ব-উদ্যোগে ইতিবাচক প্রচারণার আহ্বান জানান। ২০ তম চাইল্ড পার্লামেন্টে এইবছর স্পিকার হিসেবে ছিলেন মারিয়াম আক্তার জ্বীম। এছাড়াও ডেপুটি স্পিকার যথাক্রমে প্রদীপ্ত রায় সরকার ও জিনিয়া আক্তার সুইটি, প্যানেল ডেপুটি স্পিকার যথাক্রমে আসিফ মাহমুদ ও মাহবুবা তাবাস্সুম ইমা দায়িত্ব পালন করেন। শিশুদের এই অধিবেশনে এই বছর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শামীমা আক্তার খানম এমপি এবং জাকিয়া পারভিন খানম এমপি।

এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর গার্লস রাইটস এর ডিরেক্টর কাসফিয়া ফিরোজ, ওয়াই মুভস্ প্রজেক্ট এর ম্যানেজার রাজিয়া সুলতানা, সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রতিনিধি আবু জাফর মোহাম্মদ হোসেন, অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর নিলিমা ইয়াসমিন ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং স্পেশালিস্ট সৈয়দা হুসনে কাদেরি এবং ইয়েস বাংলাদেশের সভাপতি শামীম আহম্মেদ।

২০তম চাইল্ড পার্লামেন্টে দেশের ১৫টি জেলার ১৬টি সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুরাসহ ৬৪টি জেলার মোট ১০৫ জন চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য প্রাণবন্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১১ টা থেকে শুরু হওয়া এই অধিবেশন দুপুর পর্যন্ত চলে এবং দিনের দ্বিতীয় ভাগে পরবর্তী বছরের জন্যে চাইল্ড পার্লামেন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত