বিশ্বে আজও বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৩৭

সাহস ডেস্ক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৬১ জন। দৈনিক আক্রান্তের হিসাবে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৬ জন শনাক্ত হয়েছিল। একদিনে এটিই ছিল সর্বোচ্চ শনাক্ত।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে, গেল ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৯ হাজার ৩৪ জন। একই সময়ে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩৮ জন।

এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর বিশ্বে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ লাখ ৩ হাজার ১৬০ জনে। আর সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়ালো ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩২ জনে। এছাড়া সেরে উঠেছেন ২৭ কোটি ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৩ জন।

এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষ দেশ হিসেবে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫১২ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ২ হাজার ৭৭৪ জন।

এছাড়া যেসব দেশে একদিনে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সে দেশগুলো হলো- ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৪ লাখ ৮৫১ জন, মৃত ২৩৩ জন), ভারত (নতুন আক্রান্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৮ জন, মৃত ৪৮৯ জন), ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন, মৃত ৩৯৬ জন), আর্জেন্টিনা (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ১৭১ জন, মৃত ১৬০ জন),ইতালি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০৬ জন, মৃত ৩৭৩ জন), স্পেন (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৫ জন, ‍মৃত ১৪২ জন), জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৩৪ জন, মৃত ১৭৫ জন) এবং ব্রিটেন (নতুন আক্রান্ত ৯৫ হাজার ৭৮৭ জন, মৃত ২৮৮ জন)।

বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫৫৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে কোভিডের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫৫ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৯৫ হাজার ৯০০ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত