১২ বছরের নীচে এখনই টিকা নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২১, ১২:২০

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর স্কুলগুলোতে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে টিকা নিয়েছে মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসান হোসেন। তাহসানের পর দ্বিতীয় এবং প্রথম মেয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে কোভিডের টিকা গ্রহণ করেন একই শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহজাবিন তমা। তাদের দুজনকেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়।

সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঢাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৮টি স্কুলে টিকা দেওয়া শুরু করেছি। প্রতিদিন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাঁচ হাজার করে ৪০ হাজার টিকা দেওয়া হবে। ১২ বছরের নীচে এখনই টিকা নয়। ড্রপ আউট হোক আর যেই হোক সবার টিকা প্রয়োজন, ব্যবস্থা করা হবে। ফাইজারের ৯৬ লাখ টিকা পেয়েছি, হাতে আছে আরও ৮২ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে তারা আগামীতে আরও ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেবে। উপজেলা পর্যায়েও ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, স্কুলশিক্ষার্থীদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিটি স্কুলে থাকবে ২৫টি বুথ। প্রাথমিক পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে রাজধানীর আটটি স্কুলকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। টিকা দেওয়ার জন্য প্রথমে ১২টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় চারটি বাতিল করা হয়েছে। ফলে আজ থেকে ৮টি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। 

স্কুলগুলো হলো- হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল, মিরপুর কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল ও মিরপুর স্কলাসটিকা স্কুল। এই আটটি কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম প্রমুখ।

সাহস২৪.কম/এমআর