করোনার টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থসামগ্রী’ ঘোষণার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:১৩

সাহস ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থসামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বলেন, কার্যকরভাবে বিশ্বব্যাপী টিকা দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার।

স্থানীয় সময় বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজে ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: অ্যান্ডিং দ্যা প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক কোভিড-১৯ সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বেলা ১১টায় ভার্চ্যুয়াল এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সমায় তার ভাষণে কোভিড-১৯ মহামারি অবসানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জার্মান চ্যান্সলর এঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস।

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকা লাভের সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করা লক্ষ্যে সক্ষমতা রয়েছে এমন উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে টিকার স্থানীয় উৎপাদনের সুযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনধাপ পন্থা অবলম্বন করেছে। প্রথমত, জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং সম্পদ বরাদ্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আমাদের নাগরিকদের, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা সুরক্ষায় সহায়তা দেওয়া এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পুনরুদ্ধার করা। আমরা প্রথমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষা নেট কর্মসূচির ওপর দৃষ্টি দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নীতির দিকে মনোনিবেশ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দ্বিতীয়ত, টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। যেখানে উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বরাদ্দ করেছি। দরিদ্র, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন সুবিধাভোগীদের ১৬৬ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছি। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোককে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।

এ সময় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং কম কার্বণ নিঃসরণের দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন বাংলাদেশ সরকার প্রধান।

সাহস২৪.কম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত