টিকা নিতে বয়স্ক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার পাবেন

দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের বিস্তার বেড়েছে ব্যপকহারে। এই বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী শনিবার থেকে ছয় দিনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হতে যাচ্ছে গণটিকাদান কর্মসূচি। যা চলবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত।

সারা দেশের চার হাজার ৬০২টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ২৫ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া এবার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা দেশের সব জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চাই। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আগামীকাল ৭ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে। ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে ৭ আগস্ট করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না এবং পৌরসভার কোনো ওয়ার্ডে ৭ আগস্ট টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না; এসব জায়গায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে।

মহাপরিচালক বলেন, তবে ১২টি সিটি করপোরেশনে ৭ থেকে ৯ আগস্ট তিন দিন করোনার টিকা দেওয়া অব্যাহত থাকবে। ৮ ও ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা কার্যক্রম চলবে। আর ১০ থেকে ১২ আগস্ট রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৯ হাজার ৯৫৩ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। এখন এই টিকা নেয়ার কার্যক্রম আরও দ্রুত করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা, কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।