ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কার্যক্রম যেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও শুরু করা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ওয়ার্ড পর্যায়ে বয়স্ক লোকদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনারও ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। কারণ বয়স্ক লোকদের মধ্যেই সংক্রামণ ও মৃত্যুর হার বেশি।

সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, এখন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়েও এই কার্যক্রম শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে দেখা গেছে, গ্রামের বয়স্ক লোকরাই আছেন ৭৫ শতাংশ। তাদের মৃত্যু সংখ্যা বেশি, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ। তাদের ভ্যাকসিনেট করার জন্য আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, পাশাপাশি যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার আছে, পুলিশ, আর্মি, ডাক্তার, নার্স, গণমাধ্যমকর্মী। বাকি যারা আছেন তাদেরকে এবং তাদের পরিবার এবং পরিবারে যদি কেউ ড্রাইভারও থাকে তাকেও দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ফ্রন্টলাইনারদের ১৮ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদেরকেও টিকা দেওয়া হবে। তিনি জানান, বিভিন্নভাবে মোট ২১ কোটি করোনার টিকা আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম তো চলছেই। এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা লেভেলে জোর বেশি দেব। পশাপাশি টেস্টের বিষয়েও জোর দেয়া হয়েছে। গ্রামের লোকেরা অনেক সময় পরীক্ষা করতে চায় না।

তিনি বলেন, লকডাউনের তিন-চার দিন চলছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে মানুষ যেভাবে চলাফেরা করছে, যেভাবে গাড়ি চলাচল করছে তাতে আমরা খুবই দুঃখিত। যারা লকডাউন ব্রেক করছে তারা নিজেদের ক্ষতি করছে। প্রতিটি রাষ্ট্রের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের হাসপাতালে ৯০ শতাংশ সিট বুক হয়ে গেছে, রোগী আছে সেখানে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, নতুন করে আর কোথায় হাসপাতাল চালু করব। নতুন তো কোনো ভবনও নেই। ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারা আর কত কাজ করবে? নতুন চার হাজার ডাক্তার নেয়া হচ্ছে, নার্স নেয়া হচ্ছে।