লকডাউনের দ্বিতীয় দিন: বিধিনিষেধে সজাগ চেকপোস্ট

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৯:২৩

সাহস ডেস্ক
ছবি: সজিব তুষার/সাহস

ঈদ-উল-আযহার ছুটির পর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার (২৪ জুলাই)। বিধিনিষেধের সঙ্গে সকাল থেকে শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। যার ফলে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। মাঝে মাঝে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চললেও প্রধান সড়কগুলোতে চলতে দেখা যায়নি কোনো গণপরিবহন। এদিকে বিধিনিষেধ সচল রাখতে সজাগ পুলিশ বক্সগুলো।

প্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়- এলিফ্যান্ট রোড, পান্থপথ, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, গুলশান, নাবিস্কো, বাড্ডা, তেজগাঁও এলাকার রাস্তায় প্রাইভেট কার, রিকশা, খাদ্যসামগ্রী বহনকারী যান, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ ছোট ছোট কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সেগুলো একেবারে হাতে গোনার মতো। এসব সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসেছে চেকপোস্ট। একটু অসাবধানতায় গুণতে হচ্ছে জরিমানা।

শনিবার (২৪ জুলাই) সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোরতম বিধিনিষেধের প্রথম দিনের (শুক্রবার) তুলনায় আজ যানবাহন একটু বেশি।

ছবি: সজিব তুষার/সাহস

গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। আর এই বিধিনিষেধ সবচেয়ে কঠোরতম হবে।

সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন শুক্রবার স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং বিধিনিষেধের মধ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় সারা দেশে র‍্যাবের ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৯৫ জনকে ৪৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেন। অন্যদিকে, বিধিনিষেধের প্রথম দিনে সরকারি আদেশ অমান্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৪০৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৩ জনকে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া ট্রাফিক বিভাগ ৪৪১টি যানবাহনকে ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

ছবি: সজিব তুষার/সাহস

তবে আজকেও কেউ রাস্তায় বেরুলেই জায়গায় জায়গায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা দেখা যায়। যথার্থ কারণ দর্শাতে না পারলে জরিমানা করা হচ্ছে অনেককে। ঠিকঠাক কারন দেখানো ছাড়া ছাড় পাচ্ছেন না কেউই। এছাড়া বিধিনিষেধ মানাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাইরেন বাজিয়ে টহল দিতে দেখা যায়।

ছবি: সজিব তুষার/সাহস

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পবিত্র ঈদ-উল-আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোরতম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই হিসাবে কঠোরতম বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ।

সাহস২৪.কম/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত