করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ দুই শতাধিক মৃত্যুর রেকর্ড

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২১, ১৭:৫১ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২১, ১৮:৪৭

অনলাইন ডেস্ক

 

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে করোনায় এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গতকাল ১৬৩ জন এবং তার আগের দিন ১৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শতাধিক মৃত্যুতে টানা ১০ দিন পর আজ দুই শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ১৬২ জন। গতকাল সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যায় ছিল ১১ হাজার ৫২৫ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনে।

বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৯৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০১ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন এবং ৮২ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০১ জনের মধ্যে খুলনা বিভাগেরই সবচেয়ে বেশি, ৬৬ জন। এরপর ঢাকা বিভাগে ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, সিলেট বিভাগে ৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন এবং বরিশাল বিভাগের ৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৬০৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৪৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪২৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৭ হাজার ১৪৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৩৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৩২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪ হাজার ৬৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৩ হাজার ৭০৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৭ হাজা ৮৬ জন।