দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৭২ জন।

একই সময়ে নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছে আরও ৫ হাজার ২৬৮ জন। সব মিলিয়ে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬ জনে।

রবিবার (২৭ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ২৪৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ১০৩ জন। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন ও ৪৪ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৫৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয়জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২ জন, খুলনা বিভাগে ৩২ জন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৫৫৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৮২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৪ হাজার ৬২৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৪০০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২ হাজার ৩১৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯২৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৭২ হাজার ৪৭১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৯২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪০ হাজার ৫৪৮ জন।