গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্তের হার

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২১, ১৯:৪৪

সাহস ডেস্ক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা ৪৩ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৮২ জনে।

একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৬ জন। যা গত ৫৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। শেষ বেশি শনাক্ত হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল, ৪ হাজার ১৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জন।

বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৭৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬০ জনের মধ্যে হাসপাতালে ৫৫ জন এবং বাড়িতে পাঁচজন মারা গেছেন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে সাতজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে তিনজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬০ জনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আটজন করে মোট ১৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে চারজন, সিলেট বিভাগে ছয়জন ও ময়মনসিংহে তিনজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৫১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৩ হাজার ৯৬৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮০৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৫৩৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৯৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৫১ হাজার ১৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৭ হাজার ১১৭ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত