২০৫০ সালে প্রতি ৪ জনের একজন শ্রবণ সমস্যায় ভুগবে: ডব্লিওএইচও

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২১, ১৫:৩০

সাহস ডেস্ক

২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন শ্রবণ সমস্যার কবলে পড়বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে এই সতর্কতার কথা বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে সতর্ক করে এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।

প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী শ্রবণ সংক্রান্ত এ প্রতিবেদনে সমস্যার মূল কারণ হিসেবে সংক্রমণ, রোগ, জন্মগত ক্রুটি, অতিরিক্ত শব্দ ও জীবনধারাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এসব সসম্যার অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিপোর্টে পদক্ষেপ গ্রহণ বাবদ একটি প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রতি বছর মাথাপিছু ১.৩৩ মার্কিন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাপী বর্তমানে প্রতি পাঁচজনে একজনের শ্রবণ সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এ সংখ্যা আগামী তিন দশকে ১.৫ গুণ বেড়ে যেতে পারে।

২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন। প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া মানুষের সংখ্যা আগামী তিন দশকে দেড় গুণেরও বেশি বাড়তে পারে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন হতে পারে। অর্থাৎ ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মানুষ কোনও না কোনও ধরনের শ্রবণ সমস্যা নিয়ে বসবাস করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ২০৫০ সাল নাগাদ ২ দশমিক ৫ বিলিয়নের মধ্যে ৭০০ মিলিয়ন মানুষের অবস্থা এমন গুরুতর পর্যায়ে যেত পারে যে তাদের শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবার প্রয়োজন হতে পারে। শ্রবণ সমস্যার ব্যাপারে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে তা ভুক্তভোগীদের জন্য স্বাস্থ্যগত, ভালো থাকা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হবে।

রিপোর্টে শ্রবণ সমস্যার বড়ো ধরণের কারণ হিসেবে চিকিৎসার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ঘাটতি রয়েছে। শ্রবণ সমস্যায় ভোগা প্রায় ৮০ শতাংশ লোক এসব দেশে বাস করে। তারা তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পায় না।

এমনকি উন্নত দেশে তুলনামূলক ভালো সুযোগ সুবিধা থাকলেও চিকিৎসায় সুষম বিন্যাস নেই। শিশুদের শ্রবণ সমস্যার ৬০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, শ্রবণ সমস্যা মোকাবেলায় সম্মিলিত ব্যর্থতার কারণে প্রতি বছর এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচেছ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত