অনলাইনে নিবন্ধন ব্যতীত টিকাদান না করার সিদ্ধান্ত

www.surokkha.gov.bd

নিবন্ধন ব্যতীত কাউকে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যারা টিকা নিতে আগ্রহী তাদের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘সুরক্ষা’ র মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবন্ধন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপরই সর্বসাধারণের নিবন্ধনের জন্য প্ল্যাটফর্মটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাসের টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইট ২৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করে সরকার। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে 'সুরক্ষা' নামের এই ওয়েবসাইটটি তৈরির পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি এটিকে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে তৈরি করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অধিদপ্তর। এর ফলে এটি স্মার্টফোনেও ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। ডাউনলোড করা যাবে গুগল প্লে-স্টোর থেকে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অবশ্যই দরকার হবে। যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তিনি নিবন্ধন করতে পারবেন না, আপাতত করোনার টিকাও পাবেন না। অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধন শেষ হলে একটি কার্ড ইস্যু হবে নিবন্ধনকারীর নামে। এই কার্ড সুবিধামতো জায়গা থেকে নিবন্ধনকারী প্রিন্ট করতে পারবেন। টিকা গ্রহণের দিন ওই কার্ড কেন্দ্রে আনতে হবে। আর কোন দিন টিকা নিতে হবে, তা মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এটি একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন। দেশের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে এটি হোস্ট করা হয়েছে। ফলে যত মানুষ এটায় নিবন্ধন করতে চাইবেন, সেই অনুযায়ী এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে।

যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না বা যারা ইন্টারনেট সেবার বাইরে তাদের নিবন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত আমাদের ইন্টারনেট কানেকটিভিটি আছে। সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। যারা নিজেরা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না তারা এসব সেন্টারে এলেই সেখান থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন। সব ধরনের আপডেট নিজেদের মোবাইলে এসএমএস আকারে পাবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের প্রতিটি কেন্দ্রে যে পরিমাণ নিবন্ধন হবে সেই পরিমাণ টিকা নিয়ে যেতে হবে। কাজেই কোনো ব্যক্তি যদি কেন্দ্র পরিবর্তন করে তাহলে আমাদের অনেক টিকা নষ্ট হবে। একদম বিশেষ কারণে না হলে যেন কেউ টিকার ডোজ এবং টিকা নেওয়ার তারিখ পরিবর্তন না করে। কারণ এমনটা করলে আমাদের অনেক টিকা নষ্ট হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি কী হবে সেটা এখনও জানি না তবে এই প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন ব্যতীত কাউকে আপাতত আমরা টিকা দেবো না।