ঢাকা শহরের প্রায় ৭৪ শতাংশ বস্তিবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২০, ০১:৫৮

সাহস ডেস্ক

ঢাকা শহরের প্রায় ৭৪ শতাংশ বস্তিবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় বলা হয়েছে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে ৫ জুলাই এই সময়ের মধ্যে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৪৫ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সোমবার (১২ অক্টোবর) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)-এর এক যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে।

জরিপ চলাকালে ঢাকা শহরের ২৫ ওয়ার্ড থেকে ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৯.৮ শতাংশ মানুষের বা প্রায় প্রতি দশজনের মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত হয় বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ২৪ শতাংশ মানুষের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১৫ শতাংশের বয়স ছিল ১৫-১৯ বছরের মধ্যে।

দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং এর জিন রূপান্তর নিয়ে করা এই গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ঢাকার বস্তিগুলোতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ শতাংশ মানুষ। অর্থ্যাৎ ঢাকার ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে ইতোমধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অপরদিকে, ঢাকার বস্তিগুলোর ৭৪ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর তাদের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যারা ইতোমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ গবেষণাতে রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ডে এই জরিপ চলে। প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি মহল্লা বাছাই করে ১২০টি  খানাতে এই জরিপ চালানো হয়। জরিপ চলে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত।গবেষণায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে শতকরা ৮২ শতাংশের কোনও লক্ষণ-উপসর্গ ছিল না, ছয় শতাংশ ছিল লক্ষণ-উপসর্গযুক্ত আর বাকী ১২ শতাংশ ছিল মৃদ্যু লক্ষণযুক্ত। আবার লক্ষণযুক্ত এই রোগীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গবেষণাতে অংশ নেওয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে একজন রোগী মারা গেছেন বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদউল্ল্যা, ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন, আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী শামসুল আরেফিন প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইসিডিডিআরবির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত