হাতিয়ায় দুই স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২০, ১৮:৫০

তাজুল ইসলাম তছলিম

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় দুই স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া অপর জন ওয়ার্ডবয়।

২ মে (শনিবার) রাত ১০টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে দুই স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ বলে জানানো হয়েছে।

খবর নিশ্চিত হয়ে উপজেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা আক্রান্ত আয়াকে হাতিয়া উপজেলা হাসপাতালের একটি কক্ষে আয়সোলেশনে রেখেছেন। অপর ওয়ার্ডবয় রিপোর্ট আসার তিন দিন আগে নোয়াখালী স্টেডিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী করোনা হাসপাতালে অতিরিক্ত দায়িত্বে যোগ দেয়। চট্টগ্রাম বিআইটিআইডি'র রিপোর্ট পেয়ে হাতিয়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে নোয়াখালীকে অবহিত করার পর তাকেও সেখানে আয়সোলেশনে রাখা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. নাজিম উদ্দিন ও ডা. মিজানুর রহমান জানান, ‘আমরা এ যাবত ৮৩ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ পাঠিয়েছি। শনিবার রাত ১০টার পর দুই স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন। খবর নিশ্চিত হয়ে আমরা তাদেরকে আয়সোলেশনে রেখেছি। তবে যে দুই স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে তাদের শরীরে কোন লক্ষন ছিল না। অপর এক স্বাস্থ্য কর্মীর করোনার লক্ষন ছিল, তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’

এদিকে হাতিয়ায় করোনার অস্থিত্বের খবর ছড়িয়ে পড়ায় সর্বত্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাতিয়াবাসীর উদ্দেশে এক উপদেশ বার্তায় বলেন, ‘সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবার মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা কিন্তু তীরে এসে তরী ডোবানোর মতো অবস্থা হবে। আমাদেরকে আরো ১৫ দিন ধৈর্য ধরতে হবে। আয় রোজগারের ক্ষতি হলেও বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে আরো কয়দিন বাসায় থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ হতে হাতিয়াবাসির জন্য ১৪৯ টন চাল ৭৪৫০ জন পরিবারের মধ্যে (২০ কেজি করে) জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নগদ ৫ লক্ষ টাকা লগডাউনের ফলে জীবিকা হারানো বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর ও গরীবদের মধ্যে সরাসরি বিতরণ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও ২৫০ পরিবারকে শিশু খাদ্য প্রদান করা হয়েছে। সামনে আরো ৪৮ টন চাল বিতরণের অপেক্ষায় আছে। বেসরকারি উদ্যোগে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় এমপি মহোদয় কর্তৃক প্রায় ৫০০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এবং নগদ ৭০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এবং তা অব্যাহত আছে। অন্যান্য ব্যাক্তি ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রায় ৫০০০ পরিবারকে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। আমি আবারও সবাইকে অনুরোধ করছি আপনাদের গরীব প্রতিবেশীর খবর নিন। আতংকিত না হয়ে সতর্ক হউন।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত