ডেঙ্গুতে প্রাণ হারালেন আরও তিনজন

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০১৯, ১১:৫৬

ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন আরোও ৩ জন। হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৯৯ জন। ২৫ আগস্ট, সকাল ৮ থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টার হিসেবে এই তথ্য জানা গিয়েছে।

উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ঢাকার ১২টি সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত হাসপাতালে ৪২৯ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে আরোও ৬৯২ জন ভর্তি হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে, শনিবার মধ্যরাতে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ফজলুর রহমান (৫৫) নামে এক ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাছাড়া ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অমল সন্ন্যাসী ও মাদারীপুরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ঢাকায় আনার পথে সুমি আক্তার মারা যান। তবে, অমল সন্ন্যাসীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডাক্তাররা টাইফয়েড জ্বর বললেও পরিবার বলছে ডেঙ্গুর কথা।

ডা. আয়েশা আক্তার, সহকারী পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানান, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ২৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে ঢাকার ১২টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৪২৯ জন, ঢাকার ২৯টি বেসরকারি হাসপাতালে ১৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৯২ জন। আর ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯৯ জন, যা আগের দিনে ছিল ৮৫ জন; মিটফোর্ড হাসপাতালে ৯৪ জন, যা আগের দিন ছিল ৫৪ জন; মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫৭ জন, যা আগের দিন ছিল ৬৫ জন; শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৫ জন, যা আগের দিন ছিল ৪৮ জন; রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আটজন, আগের দিনে যা ছিল ১২ জন; কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৬০ জন, যা আগের দিন ছিল ৩০ জন উল্লেখযোগ্য। একই সময়ের মধ্যে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে যাথারীতি আগের মতোই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ জন, আগের দিন যা ছিল ৫২ জন। আর বিভাগ হিসাবে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকা বিভাগে (ঢাকা মহানগরীর বাইরে) ১৭৪ জন, এর পরই খুলনা বিভাগে ১৬৬ জন ও বরিশাল বিভাগে ১২৬ জন। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭ জন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে, ১৬ জন করে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত