ডেঙ্গু জ্বরের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও চিকিৎসা

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০১৯, ১১:৪৬

সাহস ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা। এই মশা সকাল-সন্ধ্যায় বেশি কামড়ায় কারণ এরা সকাল বেলায় এবং সন্ধ্যাবেলায় সক্রিয় থাকে।

দিনের বেলায় যে কোনো সময় কামড়াতে পারে, তবে রাতে সাধারণত কামড়ায়না। ডেঙ্গু ভাইরাস যুক্ত মশা কামড় দেওয়ার ৩-১৪ দিনের মধ্যে জ্বর আসবে। কেউ মশার কামড় খাওয়ার ১৪ দিন পর যদি জ্বর আসে, তাহলে বুঝবে যে, জ্বর ডেঙ্গুর কারণে নয়, অন্য কারণে এসে থাকতে পারে।।

ডেঙ্গু জ্বরের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
প্রথম ৩-৪ দিন (ক্লাসিকাল ডেঙ্গু): ১. জ্বরের সাথে সারা শরীর ব্যথা ২. চোখের পিছনে খুব ব্যথা ৩. পেটে ব্যথা ৪. শরীর চুলকানি ও Rash ৫. সর্দি কাশি তেমন একটা থাকেনা ৬. জয়েন্ট পেইন এবং মাংশপেশিতে ব্যথা ৭. পেটে ও বুকে পানি জমা ৮. তীব্র মাত্রার continuous জ্বর ৯. কাঁপুনি থাকবেনা প্রথম ৩-৪ দিন পর ৮০-৯০% রোগী রিকভারি স্টেজে চলে যায়, ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকে, সুস্থ হবার আগে শরীরে Rash দেখা দিতে পারে।

আর ১০-২০ % রোগীর ক্ষেত্রে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার গড়ে উঠবে। তখন জ্বর শুরু হওয়ার ৪-৫ দিন পর এ ধরনের উপসর্গ দেখা যায়: ১। বমির সাথে রক্ত ২। ডায়েরিয়া, সাথে রক্ত ৩। নাক দিয়ে রক্ত ৪। দাতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া। এ অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

হেমোরেজিক স্টেজের পর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে রোগী শকে চলে যেতে পারে। তখন একে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বলে। এসময় মারাত্মক নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে এবং রোগী মারাও যেতে পারে।

চিকিৎসা:
১। ক্লাসিকাল ডেঙ্গুতে কেবল প্যারাসিট্যামল ব্যতীত আর কোনো ব্যথানাশক ঔষধ দেয়া যায় না। ডেঙ্গু জ্বর শুরু হবে অনেক ব্যথা সহকারে। ব্যথা অসহনীয় হবে, তবে কোনো ভাবেই NSAID কিংবা ব্যথানাশক ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এতে রক্তপাতের আশঙ্কা বেড়ে যাবে এবং রোগী খুব তাড়াতাড়ি হেমোরেজিক স্টেজে চলে যাবে।
২। চুলকানি থাকলে এন্টি হিস্টামিন।
৩। I/V ফ্লুইড সাপোর্ট সতর্কতা: অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে দিনে রাতে সবসময়ই। বাড়ির আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পানি জমে থাকতে পারে এমন পাত্র অথবা বস্তু সরিয়ে ফেলতে হবে। অবহেলা না করে জ্বরাক্রান্ত রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত