রাজাপুরে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশ : ৩০ মে ২০১৯, ১৪:০২

রহিম রেজা

ঝালকাঠির রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল খায়ের রাসেলের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় জেসমিন বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার দুপুরে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেসমিন বেগম উপজেলার পশ্চিম ফুলুহার গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম হাওলাদারের স্ত্রী ও ৫ সন্তানের জননী।

এদিকে ইনজেকশন দেয়ার পর রোগীর অস্থিরতা ও উত্তেজনা দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে গেলে রোগীর স্বামীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয় এবং নার্সরাও রোগীর চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

নিহতের স্বামী আব্দুল আলিম হাওলাদারের অভিযোগ করে জানান, মঙ্গলবার রাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে বুধবার সকালে জেসমিনকে রাজাপুর কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করানো হয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবুল খায়ের রাসেল স্যালাইন ও একটি ইনজেকশন পুস করার পর জেসমিন অস্থির আচরণ করেন। তখন তিনি ডাক্তার ও নার্সদের কাছে একাধিক বার গেলেও তারা কেউ রোগীর কাছে আসেননি। উল্টো তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর রোগী মারা যায়। 

অভিযুক্ত রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবুল খায়ের রাসেল সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী জেসমিন বেগমের কিডনী বিকল, এ কারণে মারা গেছে।

ইনজেকশন পুশ করায় মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়ে বলেন, অসুস্থ্য রোগীকে ইনজেকশন দেয়া ডাক্তারের দায়িত্ব।

কিডনীতে সমস্যা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা যেত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কোর্টে স্বাক্ষী দিতে গেছিলেন, হাসপাতালে চিলেন না।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, এ ঘটনাটি তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আরএমও গোলাম সরোয়ারকে দিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ইতোমধ্যে তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আরএমও গোলাম সরোয়ার জানান, ঘটনাস্থল রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে, তথ্য নেয়া হচ্ছে। তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত