গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সেজেছে লাল শাপলার সৌন্দর্যে

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৫৪

নুর উদ্দিন, সুনামগঞ্জ

ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতি নতুন রূপে সাজে। সবুজ পত্রপল্লবে ছেয়ে যায় বৃক্ষরাজি। বিশেষ করে বর্ষাকালে বিলে-ঝিলে, ডোবা-নালা, পুকুর-জলাশয়ে থাকা জলজ উদ্ভিদগুলো প্রাণ ফিরে পায়। শীতের আগমন না ঘটলেও আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সেজেছে পদ্ম ও লাল শাপলার সৌন্দর্যে। ভোরের আলো ফুটতেই বিলের পানিতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায় পদ্ম ও শাপলা। সেই সাথে নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির কোলাহলে ঘুম ভাঙ্গে বিলের আশপাশের মানুষদের। লাল শাপলা গ্রাম গঞ্জের রূপ প্রকৃতি আরও বদলে দেয়।

সুনামগঞ্জ ও জামালগঞ্জের সাচনা বাজার সড়ক পথের দুপাশে গৌরারং ইউনিয়নের নিয়ামতপুরের ধলা ও লাংগলকাটা ধলার বিল। দুই পাশে ছিটিয়ে থাকা হাওরের শাখা প্রশাখা গুলোতে ফুটছে লাল শাপলা।

স্থানীয় নিয়ামতপুর গ্রামের আব্দুল বাছির, পিরুজপুর গ্রামের মন্তোষ দাস জানান, রাস্তার দুই পাড়ে প্রায় ত্রিশ একর জায়গায় তিন বছর যাবত ফুটে লাল শাপলা। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া লাল শাপলা বিলসহ এলাকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। রাস্তার দুই পাশে যেদিকে চোখ যায় লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখে অবাক হতে হয়। লাল শাপলার সৌন্দর্য বিনোদন প্রেমিকদের মুগ্ধ করেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে কেউ। তবে সৌন্দর্য উপভোগ এসে প্রতিদিন শত শত লোক ফুল ছিঁড়ে বিলের সৌন্দর্য নষ্ট করেছেন। বর্ষাকালে এই বিলের অধিকাংশ জমিতেই প্রাকৃতিক ভাবে পদ্মফুল জন্মে।

এলাকাবাসীরা জানান, পুরো বিল যেন লাল শাপলা এবং গোলাপী আর সাদা রংয়ের পদ্মফুলে ভরে উঠে। এ যেন বিধাতার এক অপরূপ সৃষ্টি, যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়। আগত দর্শনার্থী ও পথচারীগণ যে যার মত করে লাল শাপলা ও পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী বলেন, নিয়ামতপুর এলাকায় রাস্তার দুই পাশে শাপলা ফুলের অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন শতশত লোকজন আসছেন। যা দেখে সকলের মন জুড়িয়ে যায়। আগামী বছর দূরদুরান্ত থেকে আগত লোকজন যাতে নৌকায় চরে বিনোদন করতে পারে, আমি সেই ব্যবস্থা করে দিব।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত