উলিপুরে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের কবলে মসজিদ-মন্দির-স্কুলসহ ৬০ পরিবার

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে গত ৪৮ ঘন্টায় মসজিদ, মন্দির, কমিউনিটি ক্লিনিক, ব্রাক প্রি-প্রাইমারি স্কুলসহ ৬০ পরিবারের আবাদি জমি, বসতবাড়ি ও প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, আপদকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে তিস্তার ভয়াবহ ভাঙ্গনরোধ করা সম্ভব নয়। 

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫.৩০ মিনিটে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙ্গন কবলিত পশ্চিম বজরা, সাদুয়া, সাতালস্কর, দামারহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এসব এলাকার মানুষজন তাদের শেষ সম্বলটুকু উঁচু স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এসময় স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম, রঞ্জু মিয়াসহ অনেকেই জানান, গত ৪৮ ঘন্টার ব্যাবধানে পশ্চিম বজরা জামে মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, বজরা হাট, কালপানি, একটি ঈদগাহ মাঠ, ব্রাক প্রি-প্রাইমারি স্কুল, মন্দির, ৬০টি পরিবারের বসতভিটা, প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা রাস্তাসহ প্রায় ১১ একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে ভাঙ্গনের বিষয়টি লিখিত ভাবে অবহিত করলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লা আল মামুন জানান, ভাঙ্গনের তীব্রতার কারণে আপদকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে তা রোধ করা সম্ভব নয়, তবুও আমরা কাজ করছি। ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে, অনুমোদন পেলে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু করা হবে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.