লুকিয়ে থাকা চিতা বাঘের সন্ধান মেলেনি, সতর্ক থাকার আহ্বান

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২২, ১২:৫৫

সাহস ডেস্ক

নীলফামারী সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নে আর কোনো চিতা বাঘের সন্ধান মেলেনি। তিন দিন অভিযানের পর অনুসন্ধান স্থগিত করেছেন বন কর্মকর্তারা।তাই স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

২০ মার্চ (রবিবার) বনবিভাগের বিশেষ টিম অনেক খুঁজেও বাঘটি না পেলে ফিরে গেছে। দুপুরে নীলফামারী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার এবং একা না চলতে পরামর্শ দিয়েছে বনবিভাগ।  

রবিবার দুপুরে নীলফামারী প্রেস ক্লাবে অনুসন্ধান নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান বন কর্মকর্তারা। অভিযান বিষয়ে বক্তব্য দেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস।

তিনি জানান, গ্রামবাসীর দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী জীবিত বাঘটি খুঁজতে বন বিভাগের ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুরের তিনটি ইউনিট তিন দিন অনুসন্ধান চালায়। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে সেখানে বাঘের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, আরও একটি বাঘ এসেছিল চিতাটির সঙ্গে। সেটি লুকিয়ে রয়েছে ভুট্টা ক্ষেতে।

রংপুর বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় বলেন, আমরা টিম শুক্রবার দুপুর থেকে গ্রামটিতে অবস্থা করেছি। তাছাড়া রাজশাহী ও ঢাকা থেকে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের দু’টি ইউনিট আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। আমরা দলপাড়া গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় সন্ধান চালিয়েছি বাঘটির অবস্থান নিশ্চিত হতে। বাঘের সন্ধান পাওয়া না গেলেও ঘটনাস্থল দলবাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নতিবাড়ি চৌরঙ্গী এলাকায় বাঘের পায়ের মতো কিছু ছাপ দেখতে পেয়েছি। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে পায়ের ছাপগুলো মেছো বিড়াল বা কুকুরের। আমরা নিশ্চিত, এখানে আর কোনো বাঘ নেই। তাই আমরা বাঘ খোঁজার কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছি। 

এলাকাবাসীকে বলেছি, ভয়ের কিছু নেই, এ এলাকায় এখন কোনো বাঘ নেই। যে চিতা বাঘটি মারা গেছে, আমরা ধারণা করছি, সেটি ভারতীয় সীমানা থেকে এসেছে। এ অঞ্চলেও চিতা বাঘ দেখা যেত আগে, কিন্তু আমাদের এ অঞ্চলে বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় এখন আর বাঘ দেখা যায় না। এ গ্রাম থেকে ভারতীয় সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। তাতেই অনুমান করা যায়, ভারতের কোনো জঙ্গল থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাঘ বাংলাদেশের এ গ্রামে এসেছিল।  

তিনি বলেন, বাঘটিকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছে, তা ভিসেরা রিপোর্ট ঢাকা থেকে হাতে এলেই জানা যাবে। তারপরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হত্যা প্রমাণিত হলেই শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

সাহস২৪.কম/এবি.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত