বরই বাগানের জালের ফাঁদে শতাধিক পাখি নিধন

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৭

সাহস ডেস্ক

নীলফামারী সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নে বরই বাগানে জালের ফাঁদ পেতে শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ উঠেছে। 

১৯ মার্চ (শনিবার) বিকেলে চড়াইখোলা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের লালচান বাদশার বরই বাগানে অভিযান পরিচালনা করে মৃত পাখি ও জাল উদ্ধার করেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ রাজশাহী অঞ্চলের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির।

স্থানীয় ও গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বরই বাগানটির প্রকৃত মালিক ওই গ্রামের হাফিজুল ইসলাম। তিনি লালচানকে বাৎসরিক চুক্তিতে বাগানটি লিজ দিয়েছেন। লালচান পাখির হাত থেকে বরই রক্ষার্থে সূতা দিয়ে বিশেষ ধরনের জাল দিয়ে ঘিরে দেন। এতে গত এক সপ্তাহে শালিক, ঝিঙ্গে, দোয়েল, বুলবুলি, ঘুঘুসহ প্রায় শতাধিক পাখি আটকা পড়ে মারা যায়।

পাখি ও পরিবেশ জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতুবন্ধনের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘সংগঠনের এক সদস্যের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাটি যাচাই করা হয়। পরে পাখি নিধনের সত্যতা পেয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবগত করা হয়।‘

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ রাজশাহী অঞ্চলের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্ত লালচান গা ঢাকা দিয়েছেন। মৃত পাখিগুলো ও জাল উদ্ধার করা হয়েছে। পাখি নিধনের অপরাধে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

বন্যপ্রাণি সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ধারা ৩৮ অনুযায়ী পাখি শিকার, হত্যা, ক্রয় বিক্রয়, আটক রাখা , ইত্যাদি দন্ডনীয় অপরাধ। ১৯৭৪ সালে বন্য প্রাণি রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্য প্রাণি সংরক্ষণ ও আইনে দন্ডের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না বলেই এক শ্রেণীর মানুষ অবাধে পাখি নিধন করছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে উপকারী ও চিরচেনা পাখি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। 

সাহস২৪.কম/এবি.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত