‘যমুনার পশ্চিম পাড় বাঁধের আওতায় আসলেও পূর্বের বেশিরভাগ এলাকা অরক্ষিত’

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৫৬

সাহস ডেস্ক
ছবি: ঢাকা ট্রিবিউন

যমুনার পশ্চিম পাড় মোটামুটি বাঁধের আওতায় আসলেও পূর্ব পাড়ের বেশিরভাগ এলাকা এখনও অরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পানি বৃদ্ধি ও কমার কারণে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী, টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় শতাধিক ঘর বাড়ি ও বহু ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর এ ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে এসব এলাকায় প্রকল্প গ্রহণে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কবির বিন আনোয়ার।

পরিদর্শন শেষে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার খাষঘুনিপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় ভাঙন রোধে পাউবোর চলমান কাজের খোঁজ খবর নেন।

এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পরিদর্শনে এসেছেন এমন খবর জানাজানি হলে নদী পাড়ের হাজারো অসহায় পরিবার উপস্থিত হন। তারা ভাঙন কবলিত এলাকায় তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণে জোড় দাবি জানান।

এ সময় সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০০ বছরের ডেল্টা প্লান হাতে নিয়েছেন তার ধারাবাহিকতায় আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে নদীর এ পাড়ও বাধের আওতায় আসবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমদাদুল হক, উপ সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান প্রমুখ।

সাহস২৪.কম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত