শুষ্ক মৌসুমের আগেই সুন্দরবনে নদী-খাল পুনঃখনন করা হবে

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২১, ২৩:২৮

সাহস ডেস্ক

সরকার সুন্দরবন রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। বিভিন্ন সময় সুন্দরবন রক্ষায় সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামপ্রতিক সময়ে সুন্দরবনে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এটা নিশ্চয়ই উদ্বেগের কারণ। ভবিষ্যতে সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে আসছে শুষ্ক মৌসুমের আগেই সুন্দরবনের লোকালয় সংলগ্ন নদী-খাল পুনঃখনন করা হবে।

শনিবার (০৮ মে) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকার আগুন লাগা স্থান পরিদর্শন শেষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আপনারা জানেন বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে সুন্দরবন ও মোংলা এলাকায় ৮৩টি নদী খাল পুনঃখনন করেছেন। যা এই এলাকার প্রাণি বৈচিত্র রক্ষায় কাজ করছে। বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের চারপাশে যে কাঁটাতারের বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের কথা হয়েছে। তাও বাস্তবায়ন করা হবে। সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগকে আরও সতর্ক এবং স্থানীয় জনগণ ও বনজীবীদের আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।”

সুন্দরবনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দাসের ভারানি এলাকা পরিদর্শনের সময় সচিবের সাথে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিক উল্লাহ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোঃ রিজাউল করিম, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বনবিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী গাবতলায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাঁধ ও প্রস্তাবিত নদী শাসন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।

উল্লেখ্য, সোমবার (০৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়দের প্রায় ৩০ ঘন্টার চেষ্টায় মঙ্গলবার (০৪ মে) বিকেল ৫টায় আগুন নিভাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে বুধবার (০৫ মে) সকালে পূর্বের আগুনের দক্ষিন পাশে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে গেল ২০ বছরে সুন্দরবনে ২৬ বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত