নীলফামারীতে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২১, ১৪:২৯

নীলফামারী সদর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপা পরে এক দম্পতি এবং বজ্রপাতে এক নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকেল হতে জেলার বিভিন্নস্থানে বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের এন্তাজুল ইসলাম ওরফে ঘুটু মিয়া (৫২) ও তার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৪০) এবং সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের মহব্বত বাজিতপাড়া গ্রামের গৃহিনী রোকেয়া বেগম (৫৫)।

জানা যায়, শুরু হওয়া বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। ঝড়ের সময় কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ওই দম্পতি তাদের চার বছরের নাতি মোজহিদুল ইসলাম জাহিদসহ টিনের চালার বসত ঘরে ঘুমিয়েছিল। এমন সময় কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ির ভেতরে থাকা একটি আম গাছ ও মেহগনী গাছ উপড়ে টিনের ঘরে উপড় ভেঙ্গে পরে। এতে ওই দম্পতির মৃত্যু ঘটলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় তাদের নাতি জাহিদ।

নিহতের বড় ছেলে মমিনুর রহমান বলেন, বিকেলে হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ির ভেতরে থাকা একটি আম গাছ ও মেহগনী গাছ উপড়ে ঘরের উপর পড়ে। এতে বাবা ও মা চাপা পড়ে। এসময় প্রতিবেশী সহ আমি তাদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। তবে আমার শিশু সন্তান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় প্রাণে বেঁচে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুন্দুপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী চৌধুরী বলেন, এনতাজুল হক পেশায় অটোরিক্সা চালক এবং তার স্ত্রী মোমেনা খাতুন গৃহীনি ছিলেন। ওই দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। শুক্রবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আক্তার ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও পরিবারটিকে উপজেলা পরিষদের পক্ষে ১০ হাজার টাকা সহয়তা প্রদান করেন।

অপর দিকে একই দিনের বিকেলে বজ্রপাতে নিহত হয় সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মহব্বত বাজিতপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫৫)। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সময় স্বামী স্ত্রী একটি ঘরেই ছিলেন। ওই অবস্থায় রোকেয়া বেগম ঘর থেকে বের হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তিনি ঝলসে গিয়ে মারা যান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত