কুড়িগ্রামে টানা শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:৩০

সাহস ডেস্ক

গত চারদিন ধরে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ। রাতে ঘনকুয়াশা আর হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় গরম কাপড়েও কমছে না শীত। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো রযেছে চরম দুর্ভোগে। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডার কারণে দুর্ভোগে রয়েছে দিনমজুর, ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।

শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার মহিজন বেওয়া বলেন, আমার বোন, তার শাশুড়ি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আমি নাগেশ্বরী থেকে এসেছি তাদের দেখভাল করতে। এই এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ শীতজনিত রোগে ভুগছে।

একই এলাকার বাসিন্দা নয়ন জানান, শীতে বয়স্ক মানুষ শ্বাসকষ্ট আর সর্দিকাশিতে কাহিল হয়ে পড়ছে। যে ঠান্ডা তাতে কম্বল গায়ে দিয়ে শীত নিবারণ করা যাচ্ছে না।

সদরের ধরলা নদী তীরবর্তী চর ভেলাকোপায় বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের আজাদ ও কামাল জানান, শীতের কারণে তাদের বেশ কয়েকজন শয্যাশায়ী। ঠান্ডার কারণে বাইরে কাজে বের হতে না পেরে খুব কষ্টে কাটছে তাদের দিন।

এখানকার গৃহবধূ তানজিলা ও রোশনা জানান, ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে বাড়ির গৃহবধূরা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঠান্ডা পানি ব্যবহার করায় হাত পা অসার হয়ে যায়। বেশিরভাগ গৃহবধূ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে চর্ম সংক্রান্ত রোগব্যাধী।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, ঠান্ডার প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। একটু সাবধানে থাকলে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন গড়ে জেনারেল হাসপাতালের আইটডোরে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে গড়ে প্রায় ৬০ জন। এদের অধিকাংশ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। লোকবল কম থাকায় আমাদের ওপর খুব চাপ যাচ্ছে। আমরা হিমশিম খাচ্ছি। তবে রোগীরা ভালো আছেন।

এদিকে বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে এ জেলার ওপর দিয়ে। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত