জুনেই উজাড় ৭৬৯.১ বর্গকিলোমিটার বনভূমি!

পৃথিবীর ফুসফুস নামে খ্যাত 'আমাজন' বন ধ্বংস হচ্ছে ধীরে ধীরে। তবে আরোও ভয়াবহ কথা হলো এই বছরে বন উজাড়ের হার বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর গৃহীত নীতিগুলোর কারণেই আমাজন এরকম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সিএনএনকে এমনটা জানিয়েছে পরিবেশবাদীরা। 

সিএনএন জানিয়েছে, শুধুমাত্র জুন মাসেই প্রায় ৭৬৯.১ বর্গকিলোমিটার বনভূমি উজাড় হয়েছে। এর আগে ১৯৯৫ সালে সবচেয়ে বেশি ২৯.০৬ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল উজাড় হয়েছিল। বন উজাড় হওয়ার হার সবচেয়ে কম ছিল ২০১২ সালে। 

পরিবেশবিদদের দাবি, জিলের কট্টোর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সরকার বনভূমি সংরক্ষণ নীতি শিথিল করার কারণে এই বনভূমি উজাড়ের হার বেড়েছে।

ব্রাজিলের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের মুখপাত্র মার্সিও এস্ট্রিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পরিবেশগত সমতাকরনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের নীতিগুলো সহায়ক নয় এবং এই নীতিগুলোর কারণে ব্রাজিলের অর্থনীতিকে আগামীতে চড়া মূল্য দিতে হবে।

জানা যায়, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে ব্রাজিলের সরকারের কমল নীতির ফায়দা নিয়েই বন উজাড় করা হচ্ছে কৃষি কাজে ও খনিজ সম্পদের খোঁজে। এদিকে পরিবেশ সংক্রান্ত কার্যক্রমে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ডলার বাজেট কমিয়ে দিয়েছে ব্রাজিল সরকার।

বেসরকারি সংগঠন ক্লাইমেট ওবজারভেটরির প্রতিনিধি কার্লোস রিটি সিএনএনকে জানিয়েছেন, বালসোনারোর এই বনভূমি উজাড়ের নীতিতে কিন্তু ব্রাজিলের কেউ বিস্মিত হননি। কারণ তিনিই ব্রাজিলের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিবেশ বিরোধী এবং আদিবাসী বিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন। কৃষক এবং খনি ব্যবসায়ীরা শিথিল নীতির সুযোগ নিয়ে বনভূমি উজাড়ের কাজে আত্মনিয়োগ করেছে। তিনি ইউরোপিয় নেতাদেরকে অভিযুক্ত করে বলেছেন যে প্যারিসের পরিবেশ চুক্তির লংঘন করেও বোলসোনারো কোনো জবাবদিহিতার আওতায় আসছেন না, এর দায় ইউরোপিয় নেতাদের।