কমলগঞ্জের জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মারা যাচ্ছে জলজ প্রাণী
প্রকাশ | ২৮ মে ২০১৯, ১১:৫০
![](/assets/news_photos/2019/05/28/image-51863.jpg)
টানা ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে অসাদু মাছ শিকারীদের দৌরাত্ম দেখা দিয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কেওলার হাওরসহ বিভিন্ন জলাশয় সমূহে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে গেছে। জালে আটকে জলজ নানা প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে ও পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, সম্প্রতি ভারী বর্ষণে ঢল নেমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির সাথে সাথেই অসাধু মাছ শিকারীদের অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। তারা আইনের তোয়াক্ষা না করেই দেদারসে হাওর ও জলাশয় জুড়ে কারেন্ট জাল পুতে মাছ শিকার করছেন। কেওলার হাওর, দেওছড়াবিল, মকাবিল, কেছুলুটি, সতিঝিরগ্রাম, ধুপাটিলা, রূপষপুরসহ বন্যা প্লাবিত পুরো এলাকায় হাজারো কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে গেছে। জালে আটকে মা মাছ থেকে শুরু করে ছোটবড় মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে। জলাশয় সমূহে কারো পক্ষে হাটা চলারও সুযোগ নেই। শুধু কারেন্ট জাল আর কারেন্ট জাল।
মৌলভীবাজারের পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নূরুল মোহাইমীন মিল্টন বলেন, জলাশয় সমূহে কারেন্ট জাল, নদীতে অবৈধ বাঁশের খাটি পুতে অসাদু শিকারীরা মাছ ধরলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব। বন্যার পানি আসতে না আসতেই জলাশয় সমূহে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে ভরে উঠছে। এছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে মাছ শিকার করা হয়। সবগুলো বিষয়েই আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না। ফলে অসাদু শিকারীরা ব্যাপকহারে এসব বিষয়ে উৎসাহিত হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদ উল্ল্যা বলেন, শীঘ্রই কারেন্ট জাল ও বাঁশের খাঁটির বিষয়ে অভিযান শুরু হবে।
সাহস২৪.কম/রিয়াজ