পরিবেশ দূষণে ইলেকট্রনিক বর্জ্য

প্রকাশ : ২০ মে ২০১৯, ২১:২৭

ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য (Electronic waste /E-waste)বলতে পরিত্যক্ত বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতিকে বোঝায়। এক কথায় ডিজিটাল যুগের বিষাক্ত অবশেষ হইল ই-বর্জ্য। 

ই-বর্জ্য মূলত ক্রেতার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যেমন- ফ্রিজ, ক্যামেরা, মাইক্রোওয়েভ, ওয়াশিং মেশিন (কাপড় ধোয়ারও শুকানোর যন্ত্র) , টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন,ব্যটারি ইত্যাদি। উন্নত দেশগুলিতে বাতিল যন্ত্রপাতি  মোবাইল ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান  পুনরায় কিনে নিতে বাধ্য থাকে, যা বাংলাদেশে কল্পনাতীত। নিয়ম নীতিহীন ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ থেকে মানবস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পরে এবং মারাত্বক পরিবেশ দূষণ করে।

এসকল ই-বর্জ্য অপচনশীল(Reminiscent) হওয়ায় এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। ই-বর্জ্য পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। বর্জ্যের ভিতরে থাকে সীসা, মার্কারি, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিকসহ বিভিন্ন ধরনের হেভি মেটাল যাহা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ই-বর্জ্য সবচাইতে ক্ষতিকর শিশুস্বাস্থ্যের জন্য।

সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। এসকলে ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্যর (Recycling) মাধ্যমে ব্যবসার সম্ভাবনা প্রচুর। পরিবেশগত ও সম্পদের ব্যবহার বিবেচনায় এই পুনর্ব্যবহারযোগ্যর গুরুত্ব অপরিসীম। ই-বর্জ্য পরিশোধন করিয়া কপার বা স্বর্ণের মতো মূল্যবান ধাতু সংগ্রহ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল ও বিকাশমান শিল্পনির্ভর অনেক দেশেই লাভজনক হয়ে উঠেছে। 
 
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কী পরিমাণ ই-বর্জ্য উত্পাদিত হচ্ছে এবং এই বর্জ্য কোথায় যাচ্ছে, তা পর্যালোচনা ও ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দেবার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা। আমাদেরকে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত