‘বিলুপ্তির ঝুকিতে’ জিরাফ

প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৯, ১২:৩৩

সাহস ডেস্ক

লম্বা গলার জিরাফকে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা- আইইউসিএন ‘বিলুপ্তির ঝুকিতে’ থাকা প্রাণীর তালিকায় এনেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

১৯৮৫ সালে সারা বিশ্বে জিরাফের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫৫ হাজারের মত, ২০১৫ সালে তা ৯৭ হাজারে নেমে এসেছে (আইইউসিএন এর তথ্য অনুযায়ী)।

গত ৩০ বছরে, খাদ্যভ্যাস ও বাস্তুভূমি পরিবর্তনের কারণে স্থলে থাকা সবচেয়ে লম্বা এ প্রাণীর সংখ্যা প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে, চোরা শিকারিদের হামলা এবং আফ্রিকার দেশে দেশে নাগরিক অসন্তোষ ও যুদ্ধ-বিগ্রহকে দায়ী করা হচ্ছে।

আইইউসিএনের বার্ষিক প্রাণী সংরক্ষণ তালিকায় জিরাফের অবস্থান আগে ‘কম উদ্বেগজনক’ বলা হলেও সম্প্রতি প্রকাশিত তাদের ‘রেড লিস্টে’ জিরাফকে ‘বিলুপ্তির ঝুঁকিতে’ থাকা প্রাণীর তালিকায় রাখা হয়েছে (বিবিসি)।

আইইউসিএনের জিরাফ বিষয়ক দলের কো-চেয়ার জুলিয়ান ফেনেসি বলেন, “হাতি ও গণ্ডার নিয়ে সবার কমবেশি উদ্বেগ থাকলেও লম্বা গলার জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত জিরাফের দিকে নজর ছিল না। সাফারি পার্কগুলোতে দেখা যায় সবখানেই জিরাফ আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ প্রাণীর  সংখ্যা হু হু করে কমছে”।

জনসংখ্যার ঊর্ধ্বগতির কারণে খামারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং উন্নয়নের ধাক্কায় বন কমে যাওয়ায় আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানে জিরাফের চারণক্ষেত্র কমে আসছে। মহাদেশটির বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতিও জিরাফকে হুমকিতে ফেলছে বলে ফেনেসির পর্যবেক্ষণ।

“যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা, বিশেষ করে কেনিয়ার উত্তরাঞ্চল, সোমালিয়া এবং সাউথ সুদান ও ইথিওপিয়ার সীমান্ত এলাকায় জিরাফের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। স্বাভাবিক প্রয়োজনেই জিরাফের প্রচুর খাদ্য দরকার। বড়সড় ও কৌতুহলি এ প্রাণী যা খায়, তা দিয়ে একসঙ্গে অনেক মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব।”

সাম্প্রতিক গবেষণায় জিরাফের প্রজাতির সংখ্যা চারটি বলা হলেও আইইউসিএনের লাল তালিকায় জিরাফকে এক প্রজাতির প্রাণী হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে, যার উপ-প্রজাতি নয়টি।

সাহস২৪.কম/বাশার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত