বৈচিত্র্যময় হাওরের নীলাভ স্বচ্ছ মিঠা পানি

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:০৫

নুর উদ্দিন

সুনামগঞ্জের বৈচিত্র্যময় হাওরগুলো নানা সম্পদেই ভরপুর। হাওর-জলাশয়ে নীলাভ স্বচ্ছ মিঠাপানি সারা বছর পাওয়া যায়। প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বাজারজাত করে মোটা অংকের রাজস্ব প্রাপ্তির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সুনামগঞ্জের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে ডিও লেটার দিয়েছিলেন। তার বদলির পর বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।

জানা যায়, জেলায় দেড় হাজারেরও অধিক হাওর-জলমহালে শুধু ধানই উৎপাদন হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে কিছু মাছ উৎপাদন ছাড়া আর কিছুই হয় না। হাওরগুলো বছর ব্যাপী মিঠাপানি ধরে রাখে। তাছাড়া মৌসুমে প্রায় ১২-১৫ বিলিয়ন কোটি মিটার কিউ পানি ধারণ করে সকল হাওর। প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত মিঠাপানি ধীরে ধীরে শুকিয়েও যায়। মিঠাপানি বাজারজাতের সম্ভাবনা থাকলেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ২০১৭ সনের আগস্ট মাসে তৎকালীন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হাওরের মিঠা পানি প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করার জন্য একটি ডিও লেটার দিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে হাওরের পানি বিক্রি করেই এই অঞ্চলের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।

হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, বৈচিত্র্যময় হাওর নানা সম্পদেই ভরপুর। একমাত্র ধান উৎপাদন ছাড়া হাওরের অন্য সম্পদ এখনো ফেলনা রয়েছে। এই সম্পদ কাজে লাগানোর বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।

হাওরের প্রাণবৈচিত্র্য গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, সম্পদ ও রূপ বৈচিত্র্যে অনন্য হাওর। সরকার ইচ্ছে করলে হাওরের মিঠাপানি প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বাজারজাত করতে পারে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানির সুযোগ আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া বলেন, হাওরের মিঠাপানিও বিশাল সম্পদ। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, হাওরের সুস্বাদু মিঠাপানিও একটি সম্পদ। এই সম্পদ কাজে লাগানোর সম্ভাবনা আছে। হাওরে বর্ষা শেষে যে পানি দেখা যায় তা খুবই স্বচ্ছ। কেবল সামান্য প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বাজারজাত করলে অর্থনীতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে হাওর।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত