রাজাপুরে পাঁজায় পুড়ছে উর্বর মাটি ও গাছ

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৬

রহিম রেজা

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিশখালী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ ইটের পাঁজা। বিশখালী নদীতে জেগে ওঠা চরের উর্বর মাটির উপরস্তর কেটে আগুনে পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের ইট। 

এতে কমছে ফসলি জমি, পাজায় বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ পোড়ানোর ফলে উজাড় হচ্ছে বন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুবিধাজনক স্থানগুলোতে অভিযান চলানো হলেও প্রত্যন্ত ও তুলনামূলক দুর্গম স্থানে অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় থামছে না অবৈধ এ ব্যবসা।

এই সুযোগে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে তিন শতাধিক অবৈধ ইটের পাঁজা। মানকি-সুন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই নদীর চর দখল করে দুইটি বড় ইটের পাঁজা তৈরি করেছেন আব্দুল মন্নান (বালু মন্নান) ও মো. হাবিবুর রহমান নামে স্থানীয় দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা প্রতিদিন শ্রমিক দিয়ে চরের মাটি কেটে তৈরি করছেন ইট।

জমির পাশে পাঁজার তপ্ত আগুনের কারণে ফসল ফলাতে পারছেন না স্থানীয় কৃষকরা। আমন মৌসুম শেষ হওয়ার পর সেখানে শীতকালিন সবজির আবাদ করতে পারেনি তারা। এছাড়া ইটের পাঁজায় পোড়ানোর জন্য জড়ো করা হয়েছে শত শত মন কাঠ। ফলে উজাড় হচ্ছে আশপাশের বনাঞ্চলের গাছ।

মানকি-সুন্দর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের উপর এমন অত্যাচার দেখেও কিছু বলতে পারছি না। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রশাসনের সাথে মিলে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু মানকি-সুন্দর গ্রাম নয়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে তিন শতাধিক ইটের পাঁজার সন্ধান মিলেছে। আর বেশিরভাগ পাজাই নদীর চর ও ফসলি জমির পাশে অবস্থিত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল বলেন, অবৈধ ইটের পাঁজা বন্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চারটি পাঁজায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া দমকল বাহিনীর সহায়তা নিয়ে পাঁজার আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান আরও চলবে বলে জানান তিনি।

সাহস২৪.কম/ইতু/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত