নুসরাতের ‘নিখোঁজ’ পোস্টারে সয়লাব নির্বাচনী এলাকা

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনামে থাকেন টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। কোনো কোনো সময় বিতর্ক উস্কে দিতেও যেন পছন্দ করেন এই কলকাতার নায়িকা! এত আলোচনা-সমালোচনার পরও সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় সক্রিয় থাকতে দেখা যায় তাকে। এরইমধ্যে রাতের অন্ধকারে দেওয়ালে পোস্টার টাঙ্গানো হয়েছে নুসরাত জাহান ‘নিখোঁজ’। এমন পোস্টারেই সয়লাব হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েত এলাকা।

সোমবার (১৬ মে) এ পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা ও চাপাতলা এলাকায় অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের নামে ‘নিখোঁজ’ এবং ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার দেখা যায়। কোনো পোস্টারের নিচে লেখা সাধারণ জনগণ, আবার কোনোটায় লেখা প্রতারিত জনগণ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, সাংসদের এলাকায় না আসা নিয়ে দলের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তা থেকেই এই পোস্টার কাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার এটা বিরোধীদের কাজ বলে মনে করছেন অনেকে। অপরদিকে ক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্বের জেরেই এ ধরনের পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা। এ প্রসঙ্গে দেগঙ্গার চাপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বসুরহাটের সংসদ সদস্য ছিলেন নুরুল ইসলাম। এলাকার উন্নয়নসহ সব কাজে সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা তাকে কাছে পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সংসদ সদস্যকে পাওয়াই যায় না। সম্ভবত সে কারণেই এলাকার মানুষ এ ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে।

তবে বিষয়টি জানার পরেই দলের কর্মীদের দিয়ে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে নুসরাতের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের দাবি, এটি বিরোধীদের কাজ। কোনো ইস্যু না থাকার কারণেই বিরোধীরা এ ধরনের কুৎসা রটাচ্ছেন। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। এলাকার উন্নয়নে নুসরাতের ভূমিকা রয়েছে।

এদিকে তারকা সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ বসুরহাটের সন্দেশখালী, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূলের একাংশও। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশের অভিযোগ, তিনি ধূমকেতু। বসুরহাটে শুধু প্রচার করতে আসেন। করোনাকালে বসিরহাটে তাকে দেখা যায়নি। গত বছর আমফানের সময়ও মানুষ তাকে পাশে পায়নি। তবে এ নিয়ে এখনও অভিনেত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সাহস২৪/টিএ/এসটি/এসকে.