‘বিদেশি শিল্পী নিয়ে বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাণে শিল্পীপ্রতি ২ লাখ টাকা’

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২১, ১৮:১৬

সাহস ডেস্ক

দেশীয় চলচ্চিত্রে বিদেশি অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী, সংগীতজ্ঞ, সংগীতশিল্পী ও বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণসংক্রান্ত নীতিমালা ২০২১ (সংশোধিত)–এ বলা হয়েছে, বিদেশে শুটিং করতে হলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে যন্ত্রপাতিসহ বাংলাদেশ ও বিদেশি অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর অনুমোদন নিতে হবে। গত ৩১ মে এ–সংক্রান্ত একটি নীতিমালা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

এ নিতিমালায় আরো বলা হয়, যাচাই-বাছাই করে একটি কমিটি সুপারিশ করবে। কমিটি বিদেশে শুটিংয়ের প্রয়োজন আছে কি না, খরচের বিবরণ যথাযথ কি না ইত্যাদি বিবেচনা করবে। একইভাবে বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীদের দেশের চলচ্চিত্রে কাজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বানুমতি লাগবে।

আজ রবিবার (৬ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি শিল্পী নিয়ে বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাণে শিল্পীপ্রতি ২ লাখ টাকা সরকারি ফি পরিশোধের নিয়ম রেখে এ সংক্রান্ত নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে।

দেশীয় শিল্পী ও শিল্প রক্ষা উদ্যোগ হিসবে তথ্য মন্ত্রী বলেন, 'আমরা নীতিমালায় সংযোজন করেছি, আপনি বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবেন, তবে প্রতি শিল্পীর জন্য ২ লাখ টাকা করে ফি দিতে হবে। যে টেলিভিশন এই বিজ্ঞাপন প্রচার করবে, সেই টেলিভিশনকেও এককালীন ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এটা করে কেউ বিজ্ঞাপন বানাতে চাইলে বানাক।'

তিনি আরো বলেন, 'দেড় বছর ধরে করোনা, তারপরও চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য এমন অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যেগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তানেও নেয়া হয়নি। সিনেমা হল পুনরায় চালু করা, আধুনিকায়ন, নতুন সিনেমা হল স্থাপনের জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে।'

সিনেমা হল নির্মাণ ও বন্ধ সিনেমা হল চালু করতে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'কিন্তু সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে দাবি ছিল না। এটা অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে।'

দুই বছরের মাথায় চলচ্চিত্রশিল্প পরিপূর্ণভাবে ঘুরে দাঁড়াবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যে প্রণোদনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, সেগুলো এখনো দৃশ্যমান হচ্ছে না। এগুলো দৃশ্যমান হবে এক বছরের মাথায় যদি করোনা চলে যায় বা কমে যায়।'

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সেটা এভালুয়েশন হচ্ছে। খুব সহসা সেটা অ্যাওয়ার্ড হলে কাজ শুরু হবে। সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট। সেখানে বেশ কয়েকট ফ্লোর থাকবে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এফডিসির উন্নয়নেও একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে এফডিসির একটি আউটলেট করার জন্য এক একর জায়গা এফডিসিকে দেয়া হয়েছে। এফডিসির উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।'

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এসময় তারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সমিতির নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি করে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, সেন্সর বোর্ডে সমিতির সভাপতি বা মহাসচিবকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, সেন্সর বোর্ডের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সময় পরিচালক উপস্থিত থাকাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এ সময় তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪.কম/সজল

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত