টিকটক ক্রিয়েটাররা মিউজিক কোম্পানীগুলোকে সাপোর্ট দিচ্ছে: রথি আহমেদ

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪১

সাহস ডেস্ক

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচিত মুখ মডেল এবং ইনফ্লুয়েন্সার রথি আহমেদ মিকি। ২০১৭ সাল থেকে পথ চলা শুরু হলেও মিডিয়াতে তার পরিচিতি বাংলাদেশের হিজাবি মডেল হিসাবে।

রথি আহমেদ বাংলাদেশের প্রথম টিকটকার যিনি কিনা ওপ্পো, ভিভো, দারাজসহ নানা ব্র্যান্ডের ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে কাজ করেছেন। এছাড়াও রথী ইউনিলিভারের সানসিল্ক হিজাব রিচার্জ শ্যাম্পুর মডেল হিসাবেও কাজ করেছেন। এর বাহিরে রথি একজন ফ্যাশন মডেলও। এয়ারটেল, আনজারার হাউসের সাথে ফটোশুট এবং ওভিসির কাজ করেছেন। সম্প্রতি তার ইন্সটাগ্রামে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং টিকটকে ৮ লাখ ফলোয়ার ছাড়িয়েছে। তার সাফল্য, বর্তমান কর্মব্যস্ততা ও বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েন্সারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বললেন রথি আহমেদ।

  • যেহেতু প্রথম হিজাব মডেলিং শুরু করেন সেক্ষেত্রে সে কি ধরণের বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে?

রথি আহমেদ: আমাকে যখন একটি বিজ্ঞাপনের জন্য চূড়ান্ত করা হলো তখন তারা আমাকে জানায়, ক্যামেরার সামনে আমাকে খোলা চুলে থাকতে হবে। হিজাব ছাড়া নাকি আমাকে স্ক্রিনে দেখতে ভালো লাগবে। তখন আমার মাথায় আসে, তাহলে কি যারা হিজাব পরে তাদের দ্বারা কাজ সম্ভব না? আমি মনে করি, আমি যেমন তেমনই থাকবো। আপনার কোয়ালিটি আর আত্মবিশ্বাস থাকলে আপনি আপনার অবস্থান থেকেই পছন্দের জায়গায় কাজ করতে পারবেন। আমি অনেকগুলো ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করেছি, সবগুলোতে হিজাব পরেই করেছি।

  •  ভিন্ন ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজের নতুনত্ব কি ছিলো সে সেগুলো কিভাবে ম্যানেজ করেছে?

রথি আহমেদ: আমি অনেক বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করছি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমি যখন কোন ব্র্যান্ড প্রমোশন করতাম প্রতিটি জায়গায় নতুন নতুন বিষয় শিখতাম। কাজ করতে গিয়েই শিখেছি, সেগুলোর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি।

  •  মডেলিং এর ক্ষেত্রে হিজাবের চিন্তা কেন আসলো?

রথি আহমেদ: মডেলিংয়ের ক্ষেত্রে হিজাবের চিন্তাটা আসার কারণ হলো- আমি ছোটবেলা থেকেই হিজাব পড়ি। যখন আমি বুঝতে শিখলাম তখন থেকেই ভেবেছি আমি যে কাজই করবো হিজাব পরেই করবো।

  • বাইরের দেশের কাউকে ফলো করেছে কিনা?

রথি আহমেদ: না কাউকেই ফলো করছি না। আমি আসলে নিজের মতো করে চলতেই পছন্দ করি। আমার মন যেটা চায় সেটা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। যখন থেকে হিজাব পরা শুরু করেছি তখন থেকে নিজেই নিজের স্টাইল ক্রিয়েট করতাম।

  • হিজাব পরার পেছনে ফ্যামিলির কোন চাপ ছিলো? 

রথি আহমেদ: ছোট করে ইতিহাস। না, কখনোই আমার ফ্যামিলি থেকে কোন চাপ ছিলো না। আমি নিজের ইচ্ছাতেই হিজাব পরা শুরু করি। ছোটবেলা থেকেই আমি বেশ স্বাধীনভাবে বড় হয়েছি, এখনো নিজের ইচ্ছামতোই চলতে পারি। আমি যখন প্রথম হিজাব পরা শুরু করি আমার ফ্যামিলির কেউ বাঁধা দেয়নি। বরং তারা খুব খুশি হয়েছে।

  • ট্রাভেলের ভিডিও বানানোর বড় চ্যালেঞ্জ কি?

রথি আহমেদ: একজন মেয়ের ট্রাভেল করতে হবে সেটা চিন্তা করাটাই তো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কোথাও ট্রাভেল করার আগে পরিবারের অনুমতি নেয়া, যেখানে যাবো সেই জায়গাটা কতটুকু নিরাপদ সেটা নিশ্চিত হওয়াসহ আরো অনেক বিষয় থাকে। সেগুলোকে মিলিয়ে একটা জায়গায় যাওয়া আসলেই চ্যালেঞ্জিং। আমার কাছে মনে হয়, একজন মেয়ের জন্য ট্রাভেল করার আগে তার সিকিউরিটি নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি। কারণ রাস্তায় কখন, কোথায় কি হয়ে যায় সেটা বোঝা মুশকিল। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।

  •  ভবিষ্যতে কি করতে চান?

রথি আহমেদ: একদম ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা আমার একটা রেস্টুরেন্ট, একটা ফ্যাশন হাউজ থাকবে। এখন যেহেতু আমি ফ্যাশন ক্লথিং নিয়ে পড়ছি তাই মনে করি হয়তো আমার ইচ্ছাটা পূরণ হবে। এছাড়া আমি এখন যেসব কাজ করছি সেগুলো চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

  • বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েন্সারদের ভবিষ্যৎ কি? 

রথি আহমেদ: আমার মনে হয়, বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েন্সারদেরই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। যারা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার মানুষ তাদেরই ফলো করে। আপনি কোন ব্র্যান্ড চালু করলেই আপনার ইনফ্লুয়েন্সারদের সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে।

  •  টিকটক নিয়ে আপনার চিন্তা কি?

রথি আহমেদ: বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল অ্যাপ। অনেকেই এটা পছন্দ নাও করতে পারেন। কিন্তু টিকটকের কল্যাণে অনেকেই লাভবান হচ্ছে। বিশেষ করে মিউজিক কোম্পানীগুলো। টিকটকে খুব সহজে ভাইরাল হওয়া যায়। টিকটকে যে গানটি ভাইরাল হয় সেই গানটির ইউটিউব ভিউ অনেকাংশে বেড়ে যায়। আমরা যারা টিকটকে ইনফ্লুয়েন্সার আছি তারা মিউজিক কোম্পানীগুলোকে অনেক সাপোর্ট দিচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত