লালনের তিরোধান দিবসে লালনভক্তদের ভিড় কুষ্টিয়ায়

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:০১

ফকির লালন সাঁইয়ের ১২৯তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিন ব্যাপী 'লালন স্মরণ উৎসব ও গ্রামীণ মেলা'। এই উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ার কালীগঙ্গা নদীর তীরে চলছে উৎসবের আয়োজন। 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহযোগিতা ও লালন একাডেমীর আয়োজনে অনুষ্ঠানটির সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে মেলা ও উৎসব চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।

দুইদিন আগে থেকেই সারা দেশ থেকে আসা লালন ভক্তরা ভিড় করতে শুরু করেছেন উৎসব প্রাঙ্গণে। উৎসবের তিনদিন আখড়াবাড়ির ভেতরে এবং বাইরে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা পরিবেশন করবেন লালন গীতি। পাশাপাশি লালন মঞ্চে থাকবে সারারাত গানের আয়োজন। 

লালন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন বলেন, বিশাল এই আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। উৎসবে যোগ দিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন সাধু-গুরু, বাউল, ভক্তরা।

লালন মাজারের খাদেম ফকির মোহাম্মমদ আলী সাঁই বলেন, ভোরে গুরুকার্যের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ফকির লালন সাঁইয়ের ১২৯তম তিরোধান দিবস। লালন অনুসারী ও ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন। উৎসবের তিনদিন আখড়া পরিণত হবে গুরুশিষ্যর মিলন মেলায়।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, এত বড় আয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উৎসব অঙ্গন ছাড়াও শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে আখড়াবাড়ি সব সময় পর্যবেক্ষণ করা হবে। এবার মেলার মাঠ সংলগ্ন নদীতে স্পিডবোটে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশকে সহায়তা করবে র‌্যাব ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. আসলাম হোসেন জানান, এবার দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ থাকছে লালন মিউজিয়াম দেখার সুযোগ।

উল্লেখ্য, লালন সাঁইয়ের তিরোধানের পর থেকেই এই আয়োজন চলে আসছে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত