আমাদের তারেক মাসুদের অর্জন

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০১৯, ১৭:০৬

একজন তারেক মাসুদ’কে খুঁজতে হলে তার কাজের মধ্য দিয়েই খুঁজে পেতে হবে। একজন নিরলস সাধক হয়ে কাটিয়েছেন জীবনের বড় একটা অংশ। এই সাধনা শুধুই চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য তারেক মাসুদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রামাণ্যচিত্র থেকে কাহিনীচিত্র, সবখানেই তাঁর অবাধ বিচরণ। এসকল কাজের স্বীকৃতিও মিলেছে বিশ্বের নানান জায়গায়, নানান রূপে।

আজ ১৩ আগস্ট। আমাদের চলচ্চিত্রের গুনী এই নির্মাতার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তারেক মাসুদের যত অর্জন আমাদের নজরে এসেছে, তা নিয়েই আমাদের বিশেষ আয়োজন।

তারেক মাসুদের আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
১৯৯৯ সালে ‘মাটির ময়না’র চিত্রনাট্যের জন্য ফরাসি সরকারের প্রতিযোগিতামূলক গ্রান্ট সাউথ ফান্ড পান।
২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের সম্মানজনক ডিরেক্টরস ফোর্ট নাইট বিভাগের উদ্ভোধনী ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয় মাটির ময়না।
২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ত্রিশ’টি দেশের পয়তাল্লিশ’টি ছবির সাথে প্রতিযোগিতা করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিক্স পুরস্কার পায় মাটির ময়না।
২০০২ সালে মারাকেশ চলচ্চিত্র উৎসবে মাটির ময়না’র জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য পুরস্কার লাভ করেন।
২০০২ সালে ফ্রান্সের বিশ্বখ্যাত পরিবেশক এম কে টু এর মাধ্যমে ৪৪টি সিনেমা হলে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পায় ‘মাটির ময়না।’
২০০২ সালে আমেরিকান মোশন পিকচার একাডেমী (অস্কার) থেকে ‘বেস্ট ফরেন ল্যাংগুয়েজ’ ছবি বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য আমন্ত্রণ ও ফর্ম প্রেরণ এবং প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কোনো ছবি হিসেবে অস্কার প্রতিগিতায় অংশ নেয় ‘মাটির ময়না।’
২০০৩ সালে কারা পাকিস্তান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ মোট তিনটি পুরস্কার পায় ‘মাটির ময়না।’
২০০৩ সালে মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট আয়োজিত নিউ ডিরেক্টরস উৎসবে প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে নিউইয়র্ক টাইমস এর এলভিস মিসেলের সমালোচনায় ‘মাটির ময়না’কে যে কোনো বছরের শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে প্রশংসা করেন।
২০০৩ সালে ‘মাটির ময়না’  বাফটা ফেস্টিভ্যালের জন্য মনোনীত হয়।
২০০৩ সালে প্রখ্যাত পরিবেশক কে ফিল্মসের মাধ্যমে কানাডায় এবং ২০০৪ সালে আরেক বিখ্যাত পরিবেশক মাইলস্টোনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় ‘মাটির ময়না’।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক টেলিভিশন টার্নার ক্লাসিক-এ কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নির্বাচিত ১০টি সিনেমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় ‘মাটির ময়না’।
১৯৯৭ সালে কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত দক্ষিন এশিয়ায় প্রামাণ্যচিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার পায় তারেক মাসুদের প্রামণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান।’
১৯৯৯ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ট্রাই কন্টিনেন্টাল চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র পুরস্কার পায় তারেক মাসুদের আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির কথা।’
২০০৩ সালে ‘অন্তর্যাত্রা’র চিত্রনাট্যের জন্য রটোরডাম উৎসবের গ্রান্ট পুরস্কার অর্জন করেন তারেক মাসুদ।
২০০৬ সালে দিল্লীতে ওশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার পায়  তারেক মাসুদের ‘অন্তর্যাত্রা।’
২০০৩ সালে কারা আন্তর্জাতিক উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী’র পুরস্কার লাভ করে ‘অন্তর্যাত্রা।’

এর বাইরেও তারেক মাসুদ বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

সূত্র: ক্যামেরার পছনের সারথি, মনিস রফিক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত