পর্দার বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৮

সাহস ডেস্ক

হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি পর্দায় যতটা সক্রিয়, পর্দার বাইরেও ততটাই মানবতাবাদী।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সন্তান হিসেবে ম্যাডক্স, জাহারা ও প্যাক্স এরই মধ্যে তারকাখ্যাতি পেয়ে গেছে। অথচ তাদের জীবনটা অন্য রকমও হতে পারত।

২০০২ সালে টুম্ব রাইডার চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ ও ইউএনএইচসিআরের মাঠপর্যায়ের কাজ করতে গিয়ে কম্বোডিয়ার স্থানীয় একটি এতিমখানা থেকে সাত মাস বয়সী ম্যাডক্সকে দত্তক নেন জোলি। এর তিন বছর পরে আদ্দিস আবাবার ওয়াইড হরাইজনস ফর চিলড্রেন এতিমখানার বাসিন্দা, ছয় মাস বয়সী জাহারা মার্লে মা হিসেবে পায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। ২০০৭ সালে জোলি ভিয়েতনাম থেকে দত্তক নেন তিন বছর বয়সী প্যাক্স থিয়েনকে।

জোলির গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান—শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়েনের মতো একই রকম ভালোবাসা পেয়ে বেড়ে উঠছে ম্যাডক্স, জাহারা ও প্যাক্স। শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়েনের যখন জন্ম হয়, তখন তাদের ছবি গণমাধ্যমের কাছে ছবি প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি করেছিলেন জোলি। পুরো অর্থই তিনি একটি দাতব্য সংস্থায় দান করে দেন।

২০০১ সালে ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পর থেকে ২০টিরও বেশি দেশে গেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মানবতার কল্যাণে, বিশেষ করে শরণার্থী ও যৌন নির্যাতিত নারীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন তিনি।

২০০৫ সালে এতিমখানার শিশুদের আইনি অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান পরবর্তী সময়ে শরণার্থী শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেও কাজ করে। 

২০১৭ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জোলি যুদ্ধক্ষেত্রে নারী নির্যাতন, ধর্ষণের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে সব রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে এগিয়ে আসতে বলেন। তাঁর মতে, ‘ইউনিফর্ম’ পরিহিত একজন ব্যক্তির মাধ্যমে নারী ও শিশু ধর্ষণের চেয়ে জঘন্য আর কিছু হতেই পারে না। এ প্রসঙ্গে তিনি কেনিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরেন।

জোলির নির্দেশনায় সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ইন দ্য ল্যান্ড অব ব্লাড অ্যান্ড হানি (২০১১) এবং ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার (২০১৭) চলচ্চিত্রগুলোতেও গুরুত্বের সঙ্গে এই বিষয়গুলো উপস্থাপিত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

সাহস২৪.কম/ইতু

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত