রাবিতে নাটোর জেলা সমিতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৬

সাহস ডেস্ক

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীস্থ নাটোর জেলা সমিতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এতে নাটোর জেলার কৃতি সন্তানগণসহ সমিতির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এসময় অনুষ্ঠানটি পরিবার-পরিজনসহ নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে এক আনন্দ মিলন মেলার সৃষ্টি করে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১০টা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালিটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এরপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশেষ ম্যাগাজিন বিলচলন-৫ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নাটোর জেলায় যাঁরা শহীদ হয়েছেন এবং সমিতির যে সকল সদস্য ইন্তেকাল করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।

মধ্যাহ্ন ভোজনের পর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আজীবন সদস্যদের সম্মাননা ও নাটোরের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এরপর ছোট ও বড়দের জন্য খেলাধুলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি ও রাজশাহী জেলার কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মোত্তালিব, সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল চন্দ্র দাম, প্রচার সম্পাদক প্রকৌ. জুনায়েদ আহমেদ এবং প্রধান উপদেষ্টা কাজী আব্দুর রহমান সহ অন্যান্য উপদেষ্টাবৃন্দ।

আলোচনা অনুষ্ঠানে নাটোর জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নাটোর জেলা সমিতির একটি উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। তবে করোনাকালীন সময়ে আমরা সংগঠনকে সুচারুভাবে চালিয়ে যেতে পারিনি। কিন্তু আজ থেকে নতুন করে শুরু করার জন্য সবাইকে শপথ নিতে হবে। এই অঞ্চলের সেরা জেলা সমিতি করতে সচেষ্ট থাকতে হবে। নাটোর জেলা সমিতির প্রত্যেক সদস্যদের মধ্যে সম্প্রতি বাড়িয়ে আরও সমৃদ্ধি করতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। 

রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের গর্বের জায়গা নাটোর। নাটোরের প্রতি আমাদের কর্তব্য ও ঋণের শেষ নেই। এখানকার মানুষের সমৃদ্ধশালী একটি অতীত ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে নাটোরবাসীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। নাটোর জেলাটি ছোট হলেও এটি ছিল সুশাসনের প্রাণকেন্দ্র। নাটোরের মানুষের অতিথি আপ্যায়নে সারা দেশে সুনাম রয়েছে। নাটোরের সোনামাটিতে জন্ম নেয়া আলোকিত মানুষদের পাশে পেয়ে আমি গর্বিত। বর্তমানের নাটোর গড়ে তুলতে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

নাটোর জেলা সমিতি, রাজশাহী একটি অরাজনৈতিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।  অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা সমিতি, রাজশাহীর সভাপতি অধ্যাপক ডা. বি. কে. দাম।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত