রাবিতে লাইভস্টক অ্যাওয়ার্ড পেল ১১ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:২৫

সাহস ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ ও বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি (বিএলএস) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ মেলায় ৪ ক্যাটাগরিতে লাইভস্টক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১১ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠান। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ ব্যক্তি হলো লাইভস্টক শিল্প (ব্যক্তি) মো. আমিনুল ইসলাম, লাইভস্টক গবেষণায় অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, লাইভস্টক শিক্ষায় অধ্যাপক ড. এম রাশেদ হাসনাত, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী অঞ্জনা রানী, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে মো. সাইফুল ইসলাম, প্রোমিজিং ক্যাটাগরিতে ফার্মার অব দ্য ইয়ার লাইভস্টকে মোছা. সুরাইয়া ফারাহানা রেশমা, পোল্ট্রি শিল্পে মো. ওয়াহেদুজ্জামান সিকুল, সৌখিন পাখি শিল্পে মো. মফিজুর রহমান ও ক্যাটালিস্ট মিডিয়া পার্সন হিসেবে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের কৃষিবিদ ফয়জুল সিদ্দিকী এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় পোল্ট্রি খামার বিচিত্রার কামাল আহম্মদ।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ৩ প্রতিষ্ঠান হলো মোস্ট ভ্যালুয়েবল পার্সন অব দ্য ইয়ার ক্যাটাগরিতে লাইভস্টক শিল্প কাজী ফার্মস লিমিটেড, হাইয়েস্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ক্যাটাগরিতে লাইভস্টক শিল্পে ইয়ন বায়ো সায়েন্স লিমিটেড, প্রাণিসম্পদের মাঠ পর্যায় হতে উদ্যোক্তা আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেড।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্যসংকটের আভাস দেওয়া হচ্ছে। তবে কৃষক ও কৃষির অবদানের কারণে আমরা কখনও দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হবো না। মাঠ পর্যায়ের কৃষি সমস্যাগুলো কৃষকেরা সবচেয়ে ভালো জানেন। মাঠ পর্যায়ের সাথে যৌথতা না থাকলে আমাদের গবেষণার জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারবো না। তাই ইন্ড্রাস্টির সাথে কৃষকদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করা জরুরী। না হলে আমাদের উৎপাদন টেকসই হবে না। আমাদের টিকে থাকতে হবে, টিকে থাকতে থাকতে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, প্রাণীসম্পদ বিভাগের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষক-গবেষকদের অবদানের জন্যই এই সেক্টরে সফলতা এসেছে। তবে বাণিজ্যের কারণে খাদ্য দ্রুত উৎপাদন করে সরবরাহ করা হচ্ছে। দ্রুত উৎপাদনের কারণে খাদ্যের মধ্যে ক্ষতিকর কোনো উপাদান যুক্ত হয়ে মানুষ যেন দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকির সম্মুখীন না হয় সেদিকে খেয়াল করতে হবে। মানুষকে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে আস্বস্ত করতে হবে যে তারা নিরাপদ খাদ্য পাচ্ছে। খাদ্য সম্পর্কিত প্রকৃত তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডীন ও বিএলএস এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন এসিআই লিমিটেডের চীফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. এম এ সালেক, বিএলএস এর সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ড. হেমায়েতুল ইসলাম।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত