শাবিপ্রবি’র দুই সাবেক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:১৫

সাহস ডেস্ক

রাজধানী উত্তরা থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক দুই ছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) এই দুইজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

যে ২ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা হলেন শাবিপ্রবি'র আর্কিটেকচার বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন। তিনি দেশের একটি খ্যাতনামা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে স্থপতি হিসেবে কাজ করছেন। আরেক জন হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ছাত্র হাবিবুর রহমান (স্বপন)। তিনি বর্তমানে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।

এ নিয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক প্রাক্তনী শাহ রাজী সিদ্দিকী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি আর হাবিবুর রহমান গত প্রায় আড়াই বছর ধরে একসঙ্গে থাকি। তাকে সিআইডির লোকেরা গতরাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, সাবেক ছাত্র হিসেবে সে মাত্র ১০০০ টাকা আন্দোলনকারীদের ডোনেট করেছিল।

শাহ রাজী গতকাল রাত নয়টার দিকে জানতে পারেন, হাবিবকে বহনকারী মাইক্রোবাসটি উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে আছে। তিনি তার (রাজী) মাকে নিয়ে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে গিয়ে মাইক্রোবাসের বাইরে হাবিব ও রেজাকে দেখতে পান। রেজা তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে রাজউক-উত্তরা আবাসিক এলাকায় থাকেন।

শাহ রাজী বলেন, তারা অসমর্থিত সূত্র থেকে খবর পেয়েছেন, ওই দুজনকে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জালালাবাদ থানায় এর আগে যে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেছেন, সিআইডি কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে সিআইডির অপর একটি সূত্র বলেছে, সিলেটে ওই দুই প্রকৌশলীকে নেওয়া হতে পারে।

সিলেটের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু খালেদ মামুন বলেন, এই নামে তারা কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেননি। এখন পর্যন্ত ওই দুই প্রকৌশলীর নামে কোনো মামলার খবরও তাদের কাছে নেই।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডি'র এক কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় পুলিশের অন্যান্য ইউনিটগুলো সিআইডির সহায়তা চেয়ে থাকে। এটা আসলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান। সিআইডি কেবল তাদের সহায়তা করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত