৬ দফা দাবিতে 'নো ভ্যাট অন এডুকেশন'র সংবাদ সম্মেলন

২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সমূহের উপরে ১৫% কর আরোপে নিন্দা জানিয়ে ৬ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে 'নো ভ্যাট অন এডুকেশন'।

শুক্রবার (৪ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, 'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এ স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে। যদি তাই হয় তবে কি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মালিক পক্ষ মুনাফা অর্জন করে? ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী বলা চলে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মালিক পক্ষ যে মুনাফা অর্জন করছে তা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ'।

সরকার অবৈধ মুনাফাকে বৈধ করার চেষ্টা করছে দাবি করে তারা বলেন, গতকালের প্রস্তাবিত ১৫% করের মাধ্যমে সরকার ঐ অবৈধ মুনাফা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে।

এই বাজেট কোনভাবেই শিক্ষাবান্ধব বাজেট হতে পারেনা উল্লেখ করে তারা বলেন, 'শিক্ষাখাতে প্রস্তাবিত বাজেট বিগত বাজেটের মোট জিডিপির তুলনায় ০.০৩৬% কমেছে'।

এ সময় শিক্ষাখাতে মোট জিডিপির ৮ ভাগ দাবী করেন তারা।

২০১০ এবং ২০১৫ সালের 'নো ভ্যাট অন এডুকেশন' আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, '২০১০ এবং ২০১৫ সালে দেখেছেন বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে সরকারের যে অযৌক্তিক ভ্যাট চাপানোর চেষ্টা তার বিরুদ্ধে "নো ভ্যাট অন এডুকেশন" সরব ছিলো এবং  বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পণ্যে রূপান্তর করার যে অপচেষ্টা তা রুখে দিয়ে ২০১৫ সালে সরকারকে ভ্যাট প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিলাম। এবারো পূর্বের মতোই আমরা বলতে চাই, শুধু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় যেখানেই শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করার নূন্যতম চেষ্টা চলবে সেখানেই "নো ভ্যাট অন এডুকেশন" প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আমরা এই সংবাদ সম্মেলন থেকে স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই যে কর আরোপের প্রস্তাবণা হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের উপর বর্তালে কোনভাবেই ছাত্র সমাজ কোন ভাবেই মেনে না।'

৬ দফা দাবি গুলো হলো:
১। প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ১৫% ট্যাক্স বাতিল করতে হবে।
২। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় হিসাব ইউজিসিকে খতিয়ে দেখতে হবে।
৩। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন টিউশন ফি নীতিমালা প্রণয়ণ করতে হবে।
৪। সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৫।গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
৬। করোনা কালীন সময়ে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিশ্চিতে প্রনোদনা প্রদান করতে হবে।

সাহস২৪.কম/সজল