ঢাবিতে সীমিত পরিসরে মঙ্গল শোভাযাত্রা

প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:৩৪

সাহস ডেস্ক

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং লকডাউনের কারণে কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এবার বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ কে বরণ করে নেওয়া হবে। এ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি হয়।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হােসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাে. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আবহমান কাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবােধসম্পন্ন। নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ গুরুত্ববহ একটি বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন। কোভিড-১৯ উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শােভাযাত্রার আয়ােজন করায় চারুকলা অনুষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভূক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এবছর পহেলা বৈশাখ উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করি আগামীতে করোনা উত্তর বাংলাদেশে আগের রূপে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সক্ষম হব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত