সব শ্রেণিকে একদিনে ক্লাসে আনা হবে না, রমজানেও হবে ক্লাস

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:৩৭

সাহস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারির কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ৩০ মার্চ থেকে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্কুল-কলেজ খুলতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা সচিব এবং পুলিশের আইজিপি বৈঠকে অংশ নেন।

তবে ৩০ মার্চ শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হলেও আপাতত সব শ্রেণিকে একদিনে ক্লাসে আনা হবে না, আর গতবছর শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে এবছর রমজান মাসেও ক্লাস চালু রাখা হবে।

দীপু মনি বলেন, ক্লাস শুরুর আগেই সকল শিক্ষককে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রসঙ্গে সকল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হবে। আশা করছি, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৭ মের আগেই ভ্যাকসিন পাবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দ্বাদশ, মাধ্যমিক পর্যায়ে দশম এবং প্রাথমিক পর্যায়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন (সপ্তাহে ছয় দিন) ক্লাস হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিকে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। ৯ম এবং ১১তম শ্রেণির সপ্তাহে দুইদিন করে ক্লাস হবে। তারপর পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে একটু একটু করে বাড়িয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় শতভাগ ক্লাস চালু হবে।

সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসছে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রথমে প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো পঞ্চম শ্রেণিকে প্রতিদিন ক্লাসে আনবো। আমরা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে প্রতিদিন আনবো। বাকি ক্লাসগুলো হয়তো প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে, কয়েকদিন পর থেকে তারা সপ্তাহে দু’দিন আসবে। পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, সিক্স, সেভেন ও এইট গোড়ার দিকে সপ্তাহে একদিন করে আসবে। তারপর অবস্থা বিবেচনায় আমরা সেটাকে বাড়াবো। যদি দেখা যায় টিকার কারণে দেশে একেবারেই সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে না, তাহলে আমরা ২/৩ সপ্তাহ পর থেকেই একেবারে স্বাভাবিক ক্লাসে চলে যেতে পারি। আর যদি দেখা যায় সংক্রমণের ঝুঁকি রয়ে গেছে, তাহলে তখন যতদিন প্রয়োজন মনে করবো আমরা করে যাবো।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, যারা একাদশ ও নবম তাদের আমরা দ্বাদশ ও দশমের মতো প্রতিদিন আনবো না। কিন্তু গোড়াতেই হয়তো দু’দিন চেষ্টা করবো। তারপর হয়তো আরেকটু বাড়ানোর চেষ্টা করবো। কারণ ওরা এ বছর পরীক্ষা না দিলেও আগামী বছর দেবে। কাজেই ওদের অন্যদের চেয়ে বেশি সময় দিতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রাক-প্রাথমিককে এখন আনবো না। সেটি আমরা অবস্থা বিবেচনা করে পরে কখন আনবো, সেটি পরে সিদ্ধান্ত নেব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত