‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’-এ জিপিএ-৫ পায়নি ৩৯৬ শিক্ষার্থী

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৪০

সাহস ডেস্ক

‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ পদ্ধতিতে ফলাফল তৈরি করায় জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায়নি ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী। এর আগে জেএসসি বা সমমানের পরীক্ষা এবং এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে এসব শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি।

করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণভাবে জেএসসি বা সমমানের পরীক্ষার শতকরা ২৫ ভাগ ও এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার শতকরা ৭৫ ভাগ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল তৈরিতে বিষয় ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়েছে।

এবার সারাদেশের ৯ শিক্ষাবোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১ শিক্ষাবোর্ডে মোট ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৯২ জন ছাত্রী। মোট জিপিএ-৫ হল ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭টি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় পরীক্ষা গ্রহণ না করে গত ৭ অক্টোবর (২০২০) পরীক্ষার্থীদের জেএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের গড় মানের ভিত্তিতে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল নির্ধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ফলাফল প্রকাশের জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে আজ আমরা ফল প্রকাশ করছি। যেভাবে হয়েছে বিষয় ম্যাপিং করা হয়েছে, তা হল-জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ৭৫ শতাংশ বিবেচনা করে এইচএসসিতে আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ভিত্তিতে ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত-জীববিজ্ঞান বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসি এর পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত-জীববিজ্ঞান বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসি এর ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

মানবিক ও অন্যান্য বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসি’র মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রুপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসি’র মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।

অন্যদিকে এতে জিপিএ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আংশিক বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অকৃতকার্য বিষয়ের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এই বিষয় ম্যাপিং কিভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে তা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরবর্তীতে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটিও তাদের মতামত প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত