করোনা মহামারীতে শিক্ষার্থীদের শিখন-ঘাটতি পূরণ ও উত্তরণ বিষয়ে রুম টু রিড এর গবেষণা ফলাফল প্রকাশ

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৮

সাহস ডেস্ক

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংগঠন 'রুম টু রিড' যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২টি দেশে শিশুদের শিক্ষা সহায়তায় কাজ করে আসছে। সংগঠনটি ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে মানসম্মত সাক্ষরতা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েশিশুদের শিক্ষা ও জীবন-দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধথাকাকালীন সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে যুগান্তকারী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সংসদ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে শিখন কার্যক্রম সম্প্রচার, সরকারি অনলাইন প্লাটফরম A2i-এর ‘ঘরে বসেই শিক্ষা’ পেইজে নানাবিধ ডিজিটাল শিক্ষা-উপকরণ আপলোড করা।

তবে আমাদের দেশের ভৌগোলিক ও আর্থসামাজিক কারণে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে একই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখন-ঘাটতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে এবং বিদ্যালয় পুনরায় চালু হওয়ার পরে শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার বিভিন্ন স্তরে থাকতে পারে ও উচ্চ এবং নিম্ন দক্ষতা অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যবধান আরো বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করোনা-প্রকোপ পরবর্তী সময়ের শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ের বিষয়বস্তু হ্রাস করার জন্য জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শক্রমে এবং রুম টু রিড-এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় ‘করোনা মহামারীতে শিক্ষার্থীদের শিখন-ঘাটতি পূরণ: বাংলা বিষয়ের শিখনফল পর্যালোচনা এবং বিষয়বস্তু নির্ধারণ’ বিষয়ক একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

গবেষণার উদ্দেশ্য হলো, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ের শিখন-ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক অর্জন-উপযোগী যোগ্যতা বিশ্লেষণ করে অগ্রাধিকারমূলক যোগ্যতাসমূহ নিরূপণ এবং তদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু নির্ধারণ। সেই সাথে বাংলা বিষয়ের জন্য রিমেডিয়াল প্যাকেজ তৈরি করা যাতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় পুনরায় খোলার পরে প্রদত্ত (সীমাবদ্ধ) সময়ে শ্রেণিভিত্তিক অর্জন-উপযোগী যোগ্যতাসমূহ অর্জন করতে পারে। উক্ত গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল ও সুপারিশমালা উন্মোচন ও উপস্থাপনের জন্য ২৭ অক্টোবর একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, মহাপরিচালক (গ্রেড ১), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শাহ্ আলম, মহাপরিচালক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ) এবং প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা, চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব রাখী সরকার, কান্ট্রি ডিরেক্টর, রুম টু রিড বাংলাদেশ। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত