অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কলেজ কর্মসূচীর পুরস্কার বিতরণ

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪৮

Photo: Mesbah Sumon and His team

আজ( শুক্রবার) রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তন থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একাদশ শ্রেণির বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিজয়ী পাঠকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠান থেকে ঢাকা মহানগরের সেরা ২১টি কলেজসহ কেন্দ্র ভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচির মোট ৫৭৯ জন ছাত্রছাত্রীকে তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান করা হয় আইএফআইসি ব্যাংকের সৌজন্যে।

বর্ণাঢ্য এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড এর ডিএমডি জনাব শাহ মোঃ মঈনউদ্দিন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব জনাব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এম.পি।

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এম.পি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেক কিছু হতে চায়। তাদেরকে  ভবিষ্যৎ  লক্ষ্য নির্ধারণ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক সকলের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে ভবিষ্যতে জিপিএ-৫ নির্ভর না হয়ে মানবিক, সাংস্কৃতিক ও আলোকিত ও উচ্চমূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে। যাতে তারা বইপড়া ও সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আলোকিত বাংলাদেশে রুপান্তরিত করতে পারে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরা যারা এই বইগুলো পড়েছো, তারা নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে সাহিত্যের গভীরতর রহস্য উদঘাটন করেছো। বই পড়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বই পড়লে মন সজীব ও আলোকিত হয়, যার ফলে কঠিন জিনিসকে তুমি হাসতে হাসতে মনের ভিতর নিতে পারো। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে সাহিত্য ও উচ্চতর জীবনে ডুব দিয়ে ঐশ্বর্যময় ও রূপে নিজেকে ভরে তুলতে হবে, যাতে তোমাদের সুন্দরে- সুন্দর হয় আমাদের বাংলাদেশ।

আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড এর ডিএমডি জনাব শাহ মোঃ মঈনউদ্দিন বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়ার মতো একটি ভালো কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন এবং এর পৃষ্টপোষকতার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতেও এমন সুন্দর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিশেষে তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব জনাব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বক্তব্যের শুরুতেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই মহৎ কাজের সঙ্গী হওয়ার জন্য আইএফআইসি ব্যাংককে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তত্ত¡াবধানে সাড়ে ২৪ লক্ষ ছাত্রছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। আগামীতে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বইপড়া কর্মসূচি সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  তিনি অসুস্থ প্রতিযোগিতার বিপরীতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

[বিশেষ তথ্য: একাদশ শ্রেণির বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলা সাহিত্য ও পৃথিবীর কিশোর সাহিত্যের সেরা ১২টি বই পড়ার সুযোগ পাবে। একটি ছোট্ট সরস পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বই পাঠ মূল্যায়ন করে পঠিত বইয়ের উপর ভিত্তি করে ৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নিবার্চন করা হবে, মূল্যায়নপর্বে যারা ৬টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে,তারা পাবে স্বাগত পুরস্কার, যারা ৮টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে শুভেচ্ছা পুরস্কার, যারা ১০টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে অভিনন্দন পুরস্কার, আর যারা ১২টি বই পড়েছে বলে প্রতীয়মান হবে, তারা পাবে সেরা পাঠক পুরস্কার]।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত