তিন দফা দাবিতে জাবি অবরোধের দ্বিতীয় দিন

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:০৭

জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্ত, মহাপরিকল্পনা পুনর্বিন্যাসসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটা থেকে 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষকও। এতে করে আজও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নয়টা বাজার কিছু সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন ও সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) নূরুল আলম আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে গেলে মতের মিল না হওয়ায় ফিরে আসেন। এরপর আরেক দফায় কোষাধ্যক্ষ শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানসহ প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে গেলে তারাও ব্যর্থ হয়।

আশিকুর রহমান, সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট বলেন, ‘প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দেখা করতে এলেও অফিশিয়ালি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেননি। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, তিন দফা দাবির ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পেলে আলোচনায় বসব।’

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আলোচনায় বসতে চান। আন্দোলনরতদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শর্ত সাপেক্ষে আলোচনায় বসতে চান। আগেই শর্ত দিলে তো আলোচনায় বসার দরকার নেই।

এসময় অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এর আগেও নানা সময় আলোচনায় বসা হয়েছে। তাঁরা যদি আলোচনার আগেই সিদ্ধান্ত ঠিক করে ফেলেন, তবে সে আলোচনার কোনোও দাম নেই। এ রকম আলোচনায় আমাদের আস্থা নেই। আলোচনায় বসতে হলে আন্তরিকতা থাকতে হবে।’

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এতে কয়েকজন শিক্ষকসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

অবরোধকারীদের অন্য দুটি দাবি হলো- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ঘিরে নির্মিতব্য তিনটি ১০ তলা হলের বিকল্প স্থান নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন।

আন্দোলনকারী বলছেন, অপরিকল্পিত মাস্টার প্লানের অধীনে তড়িঘড়ি করে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে এবং অপরিকল্পিতভাবে যে কয়েকটি স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে তাতেও ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এজন্য তারা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত