পাঁচ শতাধিক মোবাইল ভেঙে দিলেন ধানমন্ডি আইডিয়ালের শিক্ষকরা

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৫:৪৯

রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১৩ জুলাই) কলেজের ভেতরে মোবাইল নিয়ে আসার কারণে শিক্ষকরা পাঁচ শতাধিক মোবাইল ভেঙে পরে তা পুড়িয়ে দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফোন জব্দ করার পর কলেজ ছুটি হলে সেগুলো ফেরত দেয়া হবে বলে কলেজ থেকে বলা হয়। কিন্তু শিক্ষকরা ফোন জমা নিয়ে তা আর ফেরত দেননি। পরে সেগুলো ভেঙে ফেলা হয় এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এদিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, অধিকাংশ শিক্ষার্থী কলেজে একা যাতায়ত করে। তাই তাদের সঙ্গে ফোন থাকা জরুরি।

কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ উল্লেখ করে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন বলেন, এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও তারা একাধিকবার তা লঙ্ঘন করেছে। গত সপ্তাহেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। তারপরও তারা ফোন নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় ক্লাস চলাকালীন সময়ে ফোন বেজে উঠলে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে অসুবিধায় পরতে হয়। তাছাড়া অনেকেই ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাসে বসে ফোনে কথা বলে। তাই ভবিষ্যতে যেন কেও আর এই কাজ করতে না পারে সেজন্য মোবাইল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

৫০০ ফোন ভেঙে ফেলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র কয়েকটি ফোন ভেঙে ফেলে পরে তা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৫০০ ফোন ভেঙে ফেলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।

ফোন ভেঙে তা পুড়িয়ে দেয়া কি কোনো সমাধান? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোনে চেস্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

ফোন পুড়িয়ে ফেলার সময় বাধা দিতে গেলে শিক্ষার্থীদের প্রহার করা হয় বলে অভিযোগ করেন অনেক শিক্ষার্থী।

কমার্স বিভাগের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানান, আমি অনেক দূর থেকে কলেজে আসা-যাওয়া করি। রাস্তায় কোনো সমস্যা হলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। আমি কলেজে ভর্তির পর প্রিন্সিপাল স্যারকে বলেছিলাম মোবাইল ফোনের কথা। স্যার আমাকে বলেছে, যারা দূর থেকে আসবে, তাদের সমস্যা দেখা হবে। অথচ স্যার আমার ফোনটি ভেঙ্গে ফেলেছেন।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মো. হারুন-আর-রশিদ বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ধরনের কাজ কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনোভাবেই করা উচিত হয়নি। শিক্ষার্থীদের আরও সতর্ক করা উচিত ছিল।

ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা যদি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তবে তা আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত